ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেজিতে ৫ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ১১ অক্টোবর ২০১৯

কেজিতে ৫ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাজারের উত্তাপ সামান্য কমিয়ে কেজিতে ৫ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ এবং আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এই দামও বছরের অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। গত কয়েক বছরেরর মধ্যে এবছর সবচেয়ে বেশি দাম উঠেছে পেঁয়াজের। মসলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের বাজারের উত্তাপ যেনো কমছে না। বিক্রেতারা বলছে, নতুন পেঁয়াজ না উঠা পর্যন্ত দেশী পেঁয়াজের ঝাঁজ কমবে না। আগামী নবেম্বর মাসের শেষ নাগাদ বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। এদিকে, চলতি সপ্তায় চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও আটার দাম স্বাভাবিক রয়েছে। দাম হ্রাস পেয়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩৫ টাকায়। শীতের সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে, তবে দাম বেশি। প্রতিকেজি আদা ১৩০-২০০, রসুন ১২০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। গত কোরবানি ঈদের পর থেকেই মসলা জাতীয় পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের অতিরিক্ত দামে ভোক্তাদের অসন্তুষ্টি বাড়ছে। তবে এই তিনপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে ইতোমধ্যে অভিযোগ উঠে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত বৈঠকে এই তিন পণ্যের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ফলে এই তিন পণ্য নিয়ে কারসাজি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে পাইকারি বাজার ও আমদানি পর্যায়ে বড় ধরনের সিন্ডিকেশন রয়েছে। খুচরা বাজারে দাম সামান্য হ্রাস পেলেও পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার আভাস দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর পুরান ঢাকার পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র শ্যামবাজারে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ টাকার বেশি দরে বিক্রি হয়েছে, যা কয়েক দিন আগে ৫৫ টাকায় নেমেছিল বলে জানা যায়। এছাড়া দেশি হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭২ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে। এই দরও কয়েক দিন আগের তুলনায় কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি। ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে। তবে আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রসঙ্গত, ভারত নিজেদের বাজার সামাল দিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় ওঠে। দাম বাড়ার প্রভাব পড়ে অভ্যন্তরীণ বাজারে। দেশে বিপুল পরিমাণ দেশীয় পেঁয়াজ মজুদ থাকার পরও দাম বাড়িয়ে দেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এ কারণে এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এদিকে, পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হলেও চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল ও চিনির মতো নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এসব পণ্যের দাম বাড়েনি। প্রতিকেজি মোটা চাল ৩০-৩৮, মিনিকেট ও নাজিরশাইল ৫২-৫৬ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৮ টাকায়। প্রতিকেজি চিনি ৫৬-৬০, ভোজ্যতেল সয়াবিন প্রতিলিটার ৭৮-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া নতুন করে মাছ ও মাংসের দাম বাড়েনি। প্রতিকেজি গরু ৫৩০-৫৫০, খাসি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইলিশসহ দেশীয় জাতীয় সব ধরনের মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×