ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিটিং বিরতিহীন নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 সিটিং বিরতিহীন নামে অতিরিক্ত  ভাড়া  আদায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটিং, গেটলক, স্পেশাল ও বিরতিহীন নাম অনেক হলেও উদ্দেশ্য এক; অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা। যাত্রীদের একরকম জিম্মি করেই কোন কোন রুটে নেয়া হচ্ছে চারগুণ ভাড়া। যদিও দায় নিতে নারাজ বাস মালিক সমিতি। সমস্যা নিরসনে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বাস পরিচালনার যে সমাধান বাতলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, সেটিও ২০২০ সালের ডিসেম্বরের আগে বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছে না খোদ বিআরটিএ। রাজধানীর ইসিবি চত্বর থেকে শ্যাওড়াপাড়া। কুড়িল ফ্লাইওভার দিয়ে পার হওয়া এ রুটের দূরত্ব সাড়ে ৪ কিলোমিটারের মতো। রাজধানীতে কিলোমিটার প্রতি বিআরটিএ নির্ধারিত বাস ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা হিসেবে এতটুকু রাস্তার ভাড়া কোনভাবেই ৮ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ রুটে চলাচলকারী যে কোন বাসে এ দূরত্বের জন্যই গুণতে হচ্ছে কমপক্ষে ২০ টাকা। কোন কোন বাস মালিক নিচ্ছেন ৩০ টাকাও। এদিকে, বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ১.৭০ টাকা, মিনিবাস ১.৬০ টাকা। অর্থাৎ এই দূরত্বে বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা, মিনিবাসের ৫ টাকা। আইনের তোয়াক্কা না করে সিটিং, গেটলকের নামে দেদারসে চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। ‘ওয়েবিল’ পদ্ধতিতে ভাড়া ঠিক করায় সবচেয়ে ভোগান্তিতে কম দূরত্বের যাত্রীরা। কারণ দূরত্ব যাই হোক চেকার যাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করার পর সব যাত্রীকে গুণতে হয় একই ভাড়া। বিগত ২০১৭ সালের এপ্রিলে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত হলেও পরে আর তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রী হয়রানির দায় নিতে রাজি নয় মালিক সমিতি। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) শুধু অনিয়ম তুলে ধরতে চাইছেন, ভাল কিছুর দিকে দৃষ্টি কেন দিচ্ছেন না। আমরা বলতে চাচ্ছি যে, অনিয়ম ছিল বিধায় তখন সেটা বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। ওই সময় বিআরটিএ দায়িত্ব নিল, গেটলক সার্ভিস বন্ধ হবে না, চলবে আমরা এটা নিয়ে ভেবে দেখব। ভাড়া নৈরাজ্য দূর করতে দ্রুত ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক বাস চালুর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারলে শুধু ভাড়ার নৈরাজ্য কমবে না, সবদিকে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। যদিও ২০২০ সালের ডিসেম্বরের আগে এ পদ্ধতিতে যাওয়ার কোন আশা দেখাতে পারছে না বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বিআরটিএ’র পরিচালক মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, আগামী ২০২০ সাল নাগাদ ২২টা রুটে এ বাসগুলো পরিচালনা করা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে।
×