ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ কবি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১১ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ কবি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরচিত কবিতা পাঠ আর গুণীজন সম্মাননা পুরস্কার প্রদানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ কবি সংগঠনের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। রাজধানীর শাহবাগের গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন লেখক ডাক্তার মোবারক হোসেন ভূঞা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কবি অসীম সাহা, কবি ছড়াকার চিন্ময় রায় চৌধুরী, কবি ও শিশু সাহিত্যিক আসলাম সানী, কবি বদরুল হায়দার, কবি নাহিদ রোকসানা, মহীউদ্দিন কাজল, অশোক ধর, আলী মোহাম্মদ লিয়াকত, কবি রুহুল মাহবুব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কবি নির্মলেন্দু গুণ। অতিথিরা বলেন, আমাদের পদ্য, ছড়া কিংবা আধুনিক কবিতায়ও রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, জীবনান্দ, সুকান্তসহ সবাই আমাদের কবিতাঙ্গনকে ঋদ্ব করেছেন। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তখন কিন্তু আমাদের কবিরা বসে থাকেনি। তখন ছড়ারাজ অন্নদা শঙ্কর রায় সেই বুড়ো বয়সে এটা সহ্য করতে পারেননি। তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরি মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’। আমাদের নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন তার ‘আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি’ কবিতায় লিখেছেন ‘সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি, রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেসব গোলাপের একটি গোলাপ গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি। আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি’। কবিদের যে উচ্চারণ এরমধ্য দিয়ে আমরা অনেক কঠিন সময় পার করেছি। যখন কবি আল মাহমুদ লেখেন ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত বৃষ্টি নামে বৃষ্টি কোথায়? বরকতের রক্ত’। খুবই প্রাঞ্জল এবং অন্য ধরনের ছড়া। আমাদের সুকুমার লেখেন, ‘অসময়ে মেহমান ঘরে ঢুকে বসে যান’। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন বলেন, গীতাঞ্জলির প্রথম কবিতায় ‘আমার মাথানত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে’। এসব কবিতা আমাদের সত্যের পথে, আলোর পথে যেতে শেখায়। সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, কবি হেলাল হাফিজ (কবিতা), নাসরিন জাহান (উপন্যাস), ইমরোজ সোহেল (কবিতা), ড. ইঞ্জিনিয়ার এস আই খান (গবেষণা, ভ্রমণ কাহিনী), বেগম সুমাইয়া সফি (কবিতা), জাহানারা তোফায়েল (আজীবন সম্মাননা), প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম (শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবা), ডাঃ মিজানুর রহমান কল্লোল ( সাহিত্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান), মোঃ ইমরাত হোসেন (অর্থনীতি), গাজী গিয়াস উদ্দিন (কবিতা), শ্যামলী ম-ল (কবিতা), ডাঃ মোবারক হোসেন ভূঞা (আজীবন সম্মাননা) ও আলী মোহাম্মদ লিয়াকত (কবিতা)। গুণীজন সম্মাননা প্রদানের পর শুরু হয় কবিতা পাঠের আসর। শুরুতে স্বরচিত কবিতা ‘পন’ পাঠ করেন কবি বেগম সুমাইয়া সফি। পরে তিনি স্বরচিত ‘কল্পনার শেষ নাই’ ও ‘রমনী’ কবিতা পাঠ করেন। ছড়াকার চিন্ময় রায় চৌধুরী একে একে পাঠ করেন, ‘অনন্ত সংকট’, ‘পঞ্চ কবির দেশ’, ‘কখনও মনে হয়’ ও ‘বেপরোয়া’ ছড়া ও কবিতা। কবি রুহুল মাহবুব পাঠ করেন স্বরচিত কবিতা ‘নূর হোসেন’। কবি আলী মোহাম্মদ লিয়াকত পাঠ করে শোনান স্বরচিত কবিতা ‘জামাই রাজা’ ও ‘খাবার অভাব কি’ কবিতা।
×