ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ১১:২৮, ১১ অক্টোবর ২০১৯

ঝলক

সাদা কাগজ জমা দিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর! শিক্ষকের কাছে সাদা কাগজ জমা দিয়েছিলেন এক জাপানী শিক্ষার্থী। মজার বিষয় হচ্ছে, সেই শিক্ষার্থীকেই সর্বোচ্চ নম্বর দিয়েছেন শিক্ষক। ইমি হাগা নামের ওই শিক্ষার্থী অদৃশ্য কালি দিয়ে একটি রচনা লিখে শিক্ষকের কাছে জমা দিয়েছিলেন। প্রথমে শিক্ষক বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে তিনি ইমির লেখা কাগজটি চুলার ওপর ধরলে লেখাগুলো স্পষ্ট হতে শুরু করে। জাপানে নিনজাদের এই কৌশলকে ‘আবুরিদাশি’ বলা হয়। সয়াবিন ভিজিয়ে তা পিষে এই অদৃশ্য কালি তৈরি করা হয়। নিনজা ইতিহাসের শিক্ষার্থী ইমি হাগা বলেন, ‘ছোটবেলায় একটি বই থেকে আমি এই কৌশল শিখেছিলাম। আমি আশা করেছিলাম, কেউ এই ধারণা নিয়ে হয়তো কাজ করবে না।’ নিনজা হচ্ছে প্রাচীন জাপানের একদল গুপ্ত ঘাতক। এরা কালো পোশাকে নিজেদের আবৃত করে রাখত। মেই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বর্ষের নিনজা ইতিহাসের ক্লাসে ইমি হাগা ও তার সহপাঠীদের নিনজা জাদুঘর নিয়ে একটি রচনা লিখতে দেয়া হয়। ইমি বলেন, ‘অধ্যাপক যখন বললেন, সৃষ্টিশীলতার জন্য তিনি সর্বোচ্চ নম্বর দেবেন, তখন আমি অন্যদের চেয়ে ভিন্নভাবে রচনা লেখার চেষ্টা করলাম। আমি এক মুহূর্ত চিন্তা করার পর আবুরিদাশি পদ্ধতিতে লেখার সিদ্ধান্ত নেই।’- বিবিসি পেটে ১০৪ টুকরো প্লাস্টিক লগারহড কচ্ছপ ছানার অকাল মৃত্যুতে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কেননা ছানাটির পেট থেকে ১০৪ টুকরো প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বোকা র‌্যাটন বন্দরে গুম্বো লিম্বো নেচার সেন্টারের কর্মীরা ভেসে আসা ছানাটিকে উদ্ধার করেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি মারা যায়। ময়নাতদন্তে পর ছোট্ট প্রাণীটির পাকস্থলী থেকে বের হয় ১০৪টি প্লাস্টিকের টুকরো। সেগুলোর মধ্যে যেমন রয়েছে বোতলের ছিপি, তেমনই আছে বেলুন, প্লাস্টিকের দড়ি বা প্যাকেটের টুকরো। ছানাটি এতই ছোট যে হাতের তালুর মধ্যে সেটি ধরে যায়। তার মৃত্যুর পর ছানাটির দেহ ও প্লাস্টিকের টুকরোসহ ছবি গুম্বো লিম্বো নেচার সেন্টার কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে আপলোড করেছে। তারপরই প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার ও যত্রতত্র সেই আবর্জনা ফেলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে লোকজন। সেন্টারের কচ্ছপ ও কচ্ছপ পুনর্বাসন বিভাগের কর্মী এমিলি মিরোওস্কি বললেন, বহু ভেসে আসা সামুদ্রিক প্রাণীকে তারা উদ্ধার করেছেন। চেষ্টা করেও সেগুলোকে বেশিরভাগ সময়ই তাদের বাঁচানো সম্ভব হয় না। ময়নাতদন্তের পর দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি প্রাণীর পাকস্থলীতেই জমে রয়েছে প্লাস্টিক। কচ্ছপ ছানাটি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যেহেতু তার পাকস্থলী প্লাস্টিকের টুকরোয় ভরে গিয়েছিল সে ভেবেছিল তার পেট ভর্তি আছে। সেজন্য ছানাটি খাবার খায়নি। তার ফলেই দুর্বলতা ও অপুষ্টি গ্রাস করে তাকে। সমুদ্রে প্লাস্টিক ফেলা বন্ধ করতে শুধু সরকারী নিয়ম বা নজরদারিই নয়, মানুষের সচেতনতাও জরুরী বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। -লাইভ সাইন্স।
×