ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোল মিসে আক্ষেপের হার

প্রকাশিত: ১১:২৪, ১১ অক্টোবর ২০১৯

গোল মিসে আক্ষেপের হার

বাংলাদেশ ০-২ কাতার জাহিদুল আলম জয় ॥ ম্যাচের আগে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া বলেছিলেন, ‘সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। না হলে আফসোসে পুড়তে হবে’। বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবলে শক্তিশালী কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর অধিনায়কের কথারই সত্যতা মিলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টিভেজা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে গোল মিসের মহড়া না করলে হয়তো ঐতিহাসিক সাফল্যই ধরা দিত। অন্তত ছয় থেকে সাতটি সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে লাল-সবুজের দেশকে। এটি বিশ্বকাপ ও এশিয়ান বাছাইপর্বে ‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় হার। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল কোচ জেমি ডে’র দল। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর জয়ের ধারায় ফিরেছে ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়া কাতার তিন ম্যাচ শেষে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে। ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের দুর্গে চড়াও হয়ে খেলতে থাকে অতিথি কাতার। তবে স্বাগতিকরাও মাঝেমধ্যে কয়েকটি ভাল আক্রমণ করে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বাম প্রান্ত থেকে কাতার অধিনায়ক হাইদোসের দুর্বল শট ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক রানা। তৃতীয় মিনিটে পাল্টা আক্রমণ শাণায় বাংলাদেশ। এ সময় বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হন। পঞ্চম মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে আবারও আক্রমণে যান জীবন। এবারও কাজের কাজ করতে পারেননি। তিন মিনিট পর ডান প্রান্ত থেকে রায়হানের বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে বক্সের কাছে গিয়ে বল হারান সাদ উদ্দিন। পরের মিনিটেই রায়হানের থ্রো ইনে জীবনের হেড ফিরিয়ে দেন কাতার গোলরক্ষক। ফিরতি বলে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। এরপর ম্যাচের ২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় কাতার। বা প্রান্ত থেকে ফরোয়ার্ড ইউসুফের শট আটকাতে ব্যর্থ হন গোলরক্ষক রানা। অনেকটা অরক্ষিত পোস্টে বল চলে যায় জালে (১-০)। ৪২ মিনিটে বাংলাদেশের পর পর তিনটি শট প্রতিহত হয় কাতারের পোস্টে। বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মুহুর্মুহু আক্রমণ শাণাতে থাকে বাংলাদেশ। ৭১ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে রায়হানের থ্রু থেকে দারুণ হেড করেন ইয়াসিন। কিন্তু সেটি ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক সাদ আল শিব। ফিরতি বলে আবারও হেড নেন ইয়াসিন। এবার অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৪ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থর পাসে ছোট বক্স থেকে শট নেন জামাল ভুঁইয়া। এবারো অল্পের জন্য সুযোগ হাতছাড়া হয়। শেষদিকে আরও কয়েকটি গোল করার মতো আক্রমণ রচনা করে বাংলাদেশ। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় সেগুলো জাল খুঁজে পায়নি। উল্টো ম্যাচের ইনজুরি সময়ে (৯০+২ মিনিটে) বক্সের মধ্যে জটলা থেকে বাংলাদেশের জালে আরেকবার বল জড়িয়ে দেন কাতারের মিডফিল্ডার করিম বাউদিয়াফ (২-০)। শেষ পর্যন্ত তাই ঘরের মাঠে আফসোসের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জামাল, জীবন, রবিউলদের।
×