ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হওয়া দরকার

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১১ অক্টোবর ২০১৯

অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হওয়া দরকার

দেশে আজ অসম প্রতিযোগিতার কারণে এক ধরনের অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু সংখ্যক মুখোশধারীর কারণে যারা অন্যায় পন্থা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বড়লোক হচ্ছে তাদের নিজেদের অনেক উচ্চশ্রেণীর বলে মনে করে থাকে। একটি অপূর্ণ বাজার প্রতিযোগিতা চাহিদা ও যোগানোর মধ্যে ভারসাম্যহীনতা বিরাজ করে থাকে। যখন কোন দেশ উন্নত হতে থাকে, তখন এ ধরনের বৈষম্য কিছুটা হলেও বাড়ে। সে বৃদ্ধি কিন্তু সমাজে তেমন দুর্বিপাক সৃষ্টি করত না যদি না তারা মদ-গণিকাবৃত্তি-জুয়া-আকাশছোঁয়ার পাগলামিতে অস্ত্রবাজি-গ্যাং কালচারে তরুণ বয়স থেকেই ধনী ও অতি ধনী শ্রেণীর সন্তান-সন্তুতিরা জড়িয়ে না পড়ত। এদের কাছে যেমন জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী তেমন ফ্যাশন আবার আরেক দলের কাছে মাদক-অস্ত্রবাজি-গ্যাং কালচার-ক্যাসিনো কালচার আরেক ধরনের ফ্যাশন। ইতোমধ্যে শেষোক্ত গ্রুপের হয়ে এক ধরনের রাজনীতিবিদ, আমলা ও কতিপয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কেউ কেউ এখন এক ধরনের যৌথ নিয়মে ঘোট পাকাচ্ছে- যদি ক্যাসিনো স্থাপনের মাধ্যমে কিছু রাজস্ব সেট পাচ্ছে- যদি কাসিনো স্থাপনের মাধ্যমে কিছু রাজস্ব আয় করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানে গণিকাবৃত্তি ও জুয়া খেলাকে দমনের জন্য সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে। অথচ ওই অপগ-দের কারণে আজ দেশের কাক্সিক্ষত মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৮% ছড়িয়ে গেলেও কর্মপ্রত্যাশী ও কর্মক্ষম যুবক-যুবতীর একটি বড় অংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যে সব সম্পদ পাওয়া যাচ্ছে, যারা দেশ থেকে অর্থ পাচার করে যারা গ্রেফতার হচ্ছেন তাদের সিংহভাগের পূর্ব ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটি প্রতীয়মান হয় যে, সন্ত্রাসী-কালোবাজারি মাদক ব্যবসায়ী, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী-দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর এক কাতারে বিত্তশীলদের এক অংশকে বুকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। তাদের এই অসৎ উদ্দেশ্যের যাঁতাকলে সাধারণ মানুষ পিষ্ট হচ্ছে। কতিপয়ের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার সুবাদে পেশাজীবীদের কেউ কেউ নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। সরকারের সাধু ইচ্ছেকে সমাজের একটি অসৎ শ্রেণী বৃত্তাবদ্ধ করছে অর্থের পাহাড়ে নিজেদের সম্রাট-রাজা-সিংহ শ্রেণীতে অভিহিত করতে সক্ষম হচ্ছে। যখন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাসে দেড় কোটি টাকা আয় করেন অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার থেকে প্রাপ্ত অর্থের ওপর কর আরোপে ইচ্ছাকৃত টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়- তখন এর দায় কার? আমরা যারা সাধারণ আমজনতা বেতন পাওয়ার আগেই অফিস থেকে কর কর্তন করে নেয়া হয়। অথচ প্রাপ্য কর না দিয়ে ভিআইপিদের একাংশ বেসামাল। এদিকে ব্যাংকের ঋণের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করা- দেশ থেকে পাচার করা এবং আয় প্রবাহ থাকলেও ফেরত না দেয়ার যে অভ্যাস গড়ে উঠেছে- তা যদি সিংহভাগ ঋণখেলাপী ৩০০ জনের তালিকা আছে- তাদের মধ্যে টপ টেনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিা দেয়া যায় তবেই সমাজে শৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে আমি সরকার প্রধানের দৃষ্টান্ত আকর্ষণ করছি। এদিকে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমানত পেতে হলে অবশ্যই ‘গ্রাহককে জেনে নাও’ পদ্ধতি সহজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাজে যে প্রান্তিকীকরণ হেভ এবং হেভনটসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সে সম্পর্কে সুচিন্তিত এবং যথাযথ বক্তব্য উদ্ধৃতি করতে চাচ্ছি : ‘যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায়, তাদের জন্য বা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সৎভাবে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে যায় কারণ একজনকে সৎভাবে চলতে গেলে তাকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়। আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড, ওই ব্র্যান্ড, এটা-সেটা-হৈচৈ... খুব দেখাতে পারে। ফলটা এই দাঁড়ায়, একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্ম্যে যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, ছেলেমেয়েরা ছোট্ট শিশু, তারা তো আর এতটা বোঝে নাÑ তারা ভাবে আমার বন্ধুদের এত আছে, আমাদের নাই কেন? স্বাভাবিকভাবে মানুষকে অসৎ উপায়ের পথে ঠেলে দেবে। কার আয়-উপার্জন কত, কিভাবে জীবনযাপন করে সেগুলো আমাদের বের করতে হবে। তাহলে আমরা সমাজ থেকে এই ব্যাধিটা, একটা অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারব, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারব।’ প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ সুচিন্তিত চেতনায় উদ্ভাসিত। এক্ষণে দেশের যে অগ্রগতি চলছে। তাতে ধন-বৈষম্য বাড়তে পারে। আবার মাস্টার্সে চারে চার পেয়েও চাকরির জন্য ডাকে না। তবে সামাজিক হিসাব অনুযায়ী ধনীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে- যা মানি সেন্ট্রিক সোসাইটি ও মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে মনস্তাত্ত্বিক-সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশের মধ্যে তিন ধরনের বৈষম্যের সৃষ্টি করছে। অথচ আমরা যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুধাবন করে আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারি-সম্মুখপানে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যার যার অবস্থানে থেকে কাজ করে, বৈষম্য ভরা সমাজে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে গতিময় করতে পারি। সরকারের আন্তরিক প্রয়াস থাকলেই চলবে না, সাধারণ মানুষ তাদের নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে হবে- অন্যথায় ধনিক শ্রেণীর বেশির ভাগই আজকাল বিদেশী শোষকের জায়গায় নিজেদের গড়ে তুলছে। এ কারণে সমাজে মানুষের মনে ধনী আর গরিবের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা গড়ে উঠছে। জীবনের সম্মুখে এগিয়ে যেতে হলে সবাইকে নিয়ে চলাই উত্তম। শেখ হাসিনার এটিই রাজনৈতিক দর্শন। দুর্ভাগ্য, এদেশের কোন কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাসিক আয় কোটি টাকা অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নাকের ডগায় এ অব্যবস্থা চলছে। অন্যদিকে যারা শুদ্ধি অভিমানের সচিত্র প্রতিবেদন টিভিতে দেখছি- সেখানে দেখা যায়, ব্যক্তিগত ভোল্টে সীমাহীন অর্থ সম্পদ ও অলঙ্কারের পাহাড়। সেদিন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট করা এসএসসি/এইচএসসি ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোক্তা অর্থনীতি ক্লাবের উদ্যোগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক ছাত্র যার বয়স হয়ত ১৮ থেকে ১৯ বছর হবে এমন চমৎকার করে বলল, আমিসহ উপস্থিত সবার চিন্তার খোরাক জাগিয়েছে। আমার প্রশ্ন ছিল, সোনার বাংলা গড়তে তোমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? মেধাবী ও পুরস্কারপ্রাপ্ত ছেলে বলল, কেউ যদি খারাপ ফল করে তবে তার ফল তাকে ভুগতে হয়; কেউ যদি ভুল পথে যায় তবে তার জন্য সমাজের ক্ষতি হয় আর কেউ যদি খারাপ মানুষ হয়ে উচ্চপদে আসীন হয়- তার ফল কিন্তু পড়ে সমগ্র দেশ ও জাতির ওপর। তার বক্তব্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হলে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে। ক্লাস এইটের পূর্বে কখনও পাবলিক পরীক্ষা নেয়া উচিত নয়। আবার সৃজনশীল প্রশ্নের যে বটিকা গুটিকয়েক শিক্ষাবিদ আমাদের খাইয়েছেন তার দুঃসহ প্রভাবের কারণে ইংলিশ আর অংক দুটোই কিস্তিমাত। অর্থাৎ সৃজনশীল প্রশ্নমালা কেবল মেধা বিকাশ ও উৎকর্ষতা সাধনের ক্ষেত্রে অন্তরায়স্বরূপ। এটি দুর্ভাগ্যজনক, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বিদেশের সঙ্গে একটি সমতাভিত্তিক এবং ইন্ডাস্ট্রিজ সমার্থক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা দরকার। এ জন্যই বিদেশের বিভিন্ন র‌্যাঙ্কিং ইনস্টিটিউট দিয়ে আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে র‌্যাঙ্কিং করা দরকার। এ ব্যাপারে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করতে হবে। কেননা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মেধা কম নেই কিন্তু সমস্যা হলো প্রধানমন্ত্রী যে ডেমোগ্রাফি ডিভিডেন্ডের সুবিধা নিতে বলেছেন, তা করতে হলে কেবল দেশের মধ্যে কতিপয় শিক্ষকের ঢাক পেটালে চলবে না বরং বিশ্বায়নের এ যুগে উন্নত বিশ্বের মতো ংঃঁফবহঃ সেন্ট্রিক এডুকেশনের ব্যবস্থা করতে হবে, ক্লাস অডিটিং করতে হবে সহকর্মীদের দ্বারা, আবার ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পিয়ার রিভিউয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্লুমস টেক্সনোমি, ক্লিওপেট্রিক মডেলের সঠিক বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিয়মিত গবেষণা, জ্ঞানের বিস্তরণ ঘটানো দরকার। বিদেশে দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জ্ঞানের গবেষণাকে প্রাধান্য দেন। তৃতীয় শ্রেণী কিংবা রেফার্ড পেয়েও জি হুজুর করে চাকরি দেন। আর এখানে ইউজিসি যে অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন সেখানে দরকার হচ্ছে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট রেজাল্ট পাশাপাশি বিদেশে জার্নালে বিশেষত স্কুপাস/ এলসেলভিয়ার/জেস্টর/ইআরএ/থমসন-রোটগ্রাসে অন্তর্ভুক্ত জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকেল। আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা অনেক গোল্ড মেডেলিস্টকে দেখেছি। তাদের তুলনায় দেশের প্রথম শ্রেণীর দশটি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাল ফলাফল করা ছাত্রছাত্রীর বাস্তবসম্মত জ্ঞান অনেক বেশি এবং মেধা সম্পদও তাদের মধ্যে টেকনোলজি ট্রান্সফার সুন্দরভাবে করা হয়েছে। আশা করব ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা হবে। বস্তুত, মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই। যারা স্বল্প সময়ে বড়লোক হতে যায়, শুদ্ধি অভিযান প্রক্রিয়ায় একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে স্বল্প সময়ে হয়ত কিছু দিনের জন্য বড়লোক হওয়া যায় তবে ধপাস করে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের কর্মকা- আসলে সমূলে উচ্ছেদ করা উচিত। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমানত বৃদ্ধি করতে নিয়ম পরিবর্তন করা দরকার। আমাদের দেশে রেল লাইনের লোহার পাতের বদলে বাঁশ লাগানোর পরও বেঁচে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিল্ডিংয়ে কোড না মেনে স্টিলের বদলে বাঁশ লাগানোর পরও কন্ট্রাক্টরও বেঁচে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিচারহীনতার কারণে দুর্নীতিবাজরা ও ঘুষখোররা এক ধরনের অশুভ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। এর কুপ্রভাব পড়ছে সমাজ ব্যবস্থায়। সবচেয়ে বেশি দরকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যে সমস্ত পদে লোকের শূন্যতা রয়েছে তা পূরণ করা দরকার। বেসরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা দরকার। জীবনে সাফল্য এলে যেমন মানুষ স্যালুট করে, হেরে গেলে তেমনি পদপিষ্টে চাপা পড়তে হয়। এদেশে অনেক উদ্যোক্তার উদ্ভাবনী শক্তি থাকলেও ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে জীবন শেষ করেন। এদের কথা সমাজের কয়জন মনে রাখে? সামষ্টিক ও অর্থনীতির তথ্য উপাত্তগুলো যাচাই-বাছাই করা দরকার। গিনি কোফিসিয়েন্ট ০.৪৮ হয়েছে যা হ্রাস করা উচিত। আসলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মানব উন্নয়ন সূচকের ক্ষেত্রেও ভাল হচ্ছে- কিন্তু এ উন্নয়ন অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় হওয়ায় তা কিন্তু সংযুক্ত করা যাচ্ছে না। ফলে সবদিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় সমতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধি দরকার। এটির ব্যবস্থাপনায় কেবল সরকারের একার দায়িত্ব নয়। এক্ষেত্রে বেসরকারী খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ব্যবসাবান্ধব পদ্ধতিকে সহজীকরণ করতে চাচ্ছে- এটি যাতে স্বল্প খরচে ব্যবসা করা যায় এবং মিথ্যা আশ্বাস কোন কর্তৃপক্ষ না দিয়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। লেখক : ম্যাক্রোঁ ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ও অধ্যাপক [email protected]
×