ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে কলেজছাত্র শাওন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১১ অক্টোবর ২০১৯

ময়মনসিংহে কলেজছাত্র শাওন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ নগরীর গোলপুকুরপাড় পূজা ম-পে বিসর্জনের প্রস্তুতিকালে কলেজছাত্র শাওন ভট্টাচার্য হত্যাকা-ে অংশ নেয় ৩টি গ্রুপের নয় বন্ধু। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার হওয়া একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। গোলপুকুরপাড় ‘প্রাত সংঘ’ আয়োজিত পূজা ম-পের ভেতর বিসর্জনের প্রস্তুতিকালে নাচ গানের সময় তুচ্ছ ধাক্কাধাক্কির ঘটনার জেরে বহিরাগত ৩ গ্রুপের ত্রিমুখী মারামারির সময় ঘটেছে এই হত্যাকা-। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শাওন হত্যাকা- নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন। গত ৮ অক্টোবর রাত ৯টায় ছুরিকাঘাতে খুন হয় নগরীর কর্মাস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাওন ভট্টাচার্য। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিসর্জের প্রস্তুতিকালে পূজা ম-পের ভেতর নাচ গানে অংশ নেয় বহিরাগত মুন্না, আবির ও মাহিন গ্রুপ। এ সময় ধাক্কাধাক্কির জেরে তিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে মাহিন তার পকেটে থাকা সুইচ গিয়ারের চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করে আবিরকে। আবির জখম হয়। পরে শাওনের বুকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর জখম শাওনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিশ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার সাতজন হচ্ছেÑ নগরীর আর কে মিশন রোডের সেম্মত আলীর পুত্র মাহফুজুল ইসলাম মাহিন, নওমহল পানির ট্যাঙ্কি এলাকার আশীষ চন্দ্র দে এর পুত্র আকাশ চন্দ্র দে, আর, কে মিশন রোডের ফরিদ উদ্দিন এর পুত্র সারোয়ার উদ্দিন হৃদয়, বাঘমারা এলাকার আসলামের পুত্র ফারদিন, একই এলাকার হারুণ অর রশিদের পুত্র সাজ্জাদ, চরপাড়া কপিক্ষেত এলাকার মৃত হোসেন এর পুত্র মুন্না ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার মরিচাচর গ্রামের সিদ্দিকুলের পুত্র রাকীব। এর বাইরে চাকু বিক্রেতা নগরীর চকবাজারের দোকানি ইসলাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপালগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা গোপালগঞ্জ থেকে জানান, কোটালীপাড়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত স্কুল-শিক্ষার্থী সৌরভ গাঙ্গুলীর হত্যাকারী সাজ্জাদ শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে খুলনার দৌলতপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকুটিও জব্দ করে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান খান স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ সংক্রান্তে বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি জানান, রবিবার রাত ১০টার দিকে সৌরভ তার বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের পাশে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল। এমন সময় সাজ্জাদ একটি চাকু দেখিয়ে সৌরভের মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সাজ্জাদ ওই চাকু দিয়ে সৌরভের পেটে ও পায়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সৌরভকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় সৌরভের বাবা বিমল গাঙ্গুলী অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় ৩০২/৩৪ দ-বিধিতে একটি মামলা (নং-০১) দায়ের করেন। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল যশোর ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। সাজ্জাদ শেখ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী গ্রামের মোঃ মনসুর শেখ ওরফে আবু সাইদের ছেলে।
×