স্টাফ রিপোর্টার ॥ বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের অগ্রগণ্য ১১ ব্যক্তিত্ব। মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তারা। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, সৈয়দ হাসান ইমাম, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, ড. সরোয়ার আলী, মফিদুল হক, ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার ও মামুনুর রশীদ।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, এক গভীর উৎকণ্ঠা ও অসীম বেদনায় নিমজ্জিত আজ পুরো জাতি। বুয়েট শিক্ষায়তনে সহপাঠী আবরার ফাহাদকে একদল ছাত্রলীগ কর্মী নির্মমভাবে হত্যা করে। সাম্প্রতিক সময়ে যুবলীগ নামক যুব সংগঠনের সামজিক অনাচার, মাদক ব্যবসা ও দুর্নীতির অবিশ্বাস্য নিদর্শন আমাদের দারুণভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ছাত্র ও যুব সংগঠনের এ বিপথগামিতা আমাদের হতাশ ও ব্যথিত করে। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাসমূহ প্রমাণ করে রাজনৈতিক দলের আদর্শবিহীন দেউলিয়া চরিত্র। আমাদের রাজনৈতিক দলসমূহ সম্পূর্ণ ব্যর্থ তাদের ছাত্র , যুব ও দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে। শুধু তাই নয়, কোন প্রকার আদর্শের ভিত্তিতে দল ও অঙ্গ সংগঠন পরিচালনা না করে শুধু পেশী শক্তি-নির্ভর দল গঠন ও পরিচালনা কি ভয়াবহ পরিণতি আনয়ন করে তা আজ সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আবরার হত্যার শুধুমাত্র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাঝে আমাদের এ ভয়াবহ সঙ্কট নিরসন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা মনে করি মানবিক মূল্যবোধের যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আজ জাতিকে গ্রাস করেছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে সরকার, শাসক দল ও সকল রাজনৈতিক দলকে নিজ নিজ দল, অঙ্গ সংগঠন, সরকার ও প্রশাসনের অভ্যন্তরে মানবিক মূল্যবোধ ও সহনশীল-সংস্কৃতির বীজ উপ্ত করতে হবে। বিশেষ করে সরকার ও সরকারী দলকে এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় জাতি এক ভয়াবহ দুর্যোগের মুখোমুখি হবে।
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল আদর্শহীন যুব ও ছাত্র সংগঠনের হাতে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ জিম্মি থাকতে পারে না মন্তব্য করে তারা বলেন, আমরা অতিদ্রুত এই সঙ্কট থেকে জাতি ও দেশকে রক্ষা করতে সরকারের আশু পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি। একইসঙ্গে জনগণকে সচেতন ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
১১ বিশিষ্টজনের বিবৃতি কারো হাতে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ জিম্মি থাকতে পারে না
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: