ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু কাল

প্রকাশিত: ১১:১৫, ১০ অক্টোবর ২০১৯

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আগামীকাল শুক্রবার থেকে অষ্টমবারের মতো শুরু হচ্ছে ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৯’। গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী এ উৎসবে অংশ নেবে ভারতের চারটি, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৩৬ নাট্যদলসহ আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, পথনাটকের মোট ১২১ সংগঠন। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে তারা পরিবেশন করবে মঞ্চনাটক, পথনাটক, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য ও মূকাভিনয়। একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত থাকবে সাংস্কৃতিক পর্ব। মঞ্চনাটক শুরু হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায়। আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১০ দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংসদ সদস্য নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর ও ভারতের নাট্যজন মেঘনাদ ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়া উদ্বোধনী পর্বে সম্মানিত অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক ড. নিপা চৌধুরী, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মান্নান হীরা ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নাট্যজন কামাল বায়েজীদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করবেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন উৎসব পর্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান এবং সভাপতিত্ব করবেন উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। উদ্বোধনী আয়োজনে নৃত্য পরিবেশন করবে স্পন্দন। পরিচালনায় অনিক বসু। বুধবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আয়োজনের বিস্তারিত জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, পথনাটক পরিষদের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, আহমেদ গিয়াস প্রমুখ। উৎসব সম্পর্কে লিখিত আকারে তুলে ধরেন উৎসব পর্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন নাট্যজন মীর জাহিদ হাসান। উৎসব উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ বলেন, সম্প্রতি বুয়েটে নৃশংসভাবে নিহত আবরার ফাহাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাই এবং এই বর্বর নির্মম হত্যাকা-ে যারা যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দাবি করি। গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সকল ধারার সংস্কৃতি কর্মীদের সম্মিলন ঘটানো। এতে একসঙ্গে কাজ করার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন শিল্প সৃষ্টির প্রেরণা অনুভব করব। আমাদের উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে একটা অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত দেশ গড়ে তোলা। তার জন্য শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতিকে বেগবান করার প্রয়োজন। একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার, যে জাগরণ সকল অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে সত্য ও ন্যায়ের সুন্দর আদর্শ আমাদের সামনে মেলে ধরবে। সেই ধরনের সাংস্কৃতিক জাগরণের জন্য এই ধরনের উৎসবের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এ উৎসবে ভারত ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মীদের যে মিলন ঘটবে তাতে যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে যার মাধ্যমে নিজেরা সমৃদ্ধ হব। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
×