ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জিকে শামীমের বন্ধ হওয়া প্রকল্পগুলোতে ফের দরপত্র চাওয়া হবে ॥ পূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১০ অক্টোবর ২০১৯

জিকে শামীমের বন্ধ হওয়া প্রকল্পগুলোতে ফের দরপত্র চাওয়া হবে ॥ পূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার কারাবন্দী যুবলীগ নেতা হিসেবে আলোচিত জিকে শামীমের ঠিকাদারি কোম্পানির অধীনে বন্ধ হওয়া প্রকল্পগুলোতে আবার দরপত্র চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে গণপূর্ত অধিদফতর সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের অনুসন্ধানে পাওয়া সুপারিশমালা হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, জিকে শামীমের অনেকগুলো প্রকল্প এখন চলমান। সে প্রকল্পের কিছু কিছু জায়গায় তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এই অজুহাতে যে, তাদের এ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে, তাদের টাকা পয়সা নেই, কাজ করতে পারছেন না। আমরা তাদেরকে নোটিস দেব। যদি তারা এগিয়ে না আসেন। অসমাপ্ত কাজ পরিমাপ করে তার জন্য আবার টেন্ডার দেয়া হবে। এর মধ্যে বুঝিয়ে দেয়া কাজগুলোর মান পরীক্ষা করে যদি দেখা যায়, তা টেন্ডারের শর্ত পূরণ করছে না তাহলে সেসব সব কাজ গ্রহণ করা হবে না। এছাড়া যে কাজগুলো নিয়ে অনেক বেশি আলাপ আলোচনা হয়েছে, প্রাসঙ্গিকভাবে বলতে পারি যে, এই কাজগুলো আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বের কাজ। এটা ধারাবাহিকতা, কাজ বুঝে নেব। কোন কাজ সঠিক না হলে কাজ আদায় করে নেব। রেজাউল করিম বলেন, জিকে শামীমের কোম্পানি জিকে বিল্ডার্সের সরকারের ৫৩ ভবন নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছেন, যার মধ্যে ১৩টিতে তার কোম্পানি এককভাবে কাজ করছে, বাকিগুলো যৌথভাবে করছে। তিনি বলেন, শামীম যে পরিমাণ কাজ করছেন তার চেয়ে বেশি টাকা কোথায়ও নেননি। আবার ধরেন উনি পাঁচ লাখ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন, উনার অনেক জায়গায় টাকা পাওনা আছে। আমরা এ্যাডজাস্ট করব। বন্ধ কাজগুলো কবে টেন্ডার দেয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এতগুলো প্রকল্পতো। আশা করছি, দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত প্রকল্পে নোটিস দেব। তবে জিকে শামীমের অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাকে কোন কাজ দেয়া হয়নি। তার কোম্পানি ‘ইন ডিউ প্রসেস পার্টিসিপেট’ করেছে। আমাদের দায়িত্ব কাজ যথাযথভাবে তিনি করছেন কিনা সেটা দেখা। শামীম যদি অতি গোপনে বা আমাদের ‘নলেজের’ বাইরে কাউকে উৎকোচ দিয়ে থাকেন, সেটা কিন্তু আমার ধরার মতো অবস্থা নেই। তবে এ ধরনের কোন অভিযোগ এলে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে। সেই বিষয়গুলো অনেকটা যতœশীলতার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।
×