ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দূর হ দুর্নীতি;###;সাহিদা সাম্য লীনা

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১০ অক্টোবর ২০১৯

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান

চারপাশে চোখ মেললেই দেখা মেলে নানা অরাজকতা, নানা অবক্ষয়! ছড়িয়ে ছিটিয়ে এবড়ো খেবড়ো দুর্নীতির পাহাড়। এই পাহাড় একদিনে গড়ে ওঠেনি। বহু মাসেও না, বছরেও না। যুগ একটা নিয়েছে এটা ঠিক। একটা দুর্নীতির স্পট তৈরি করাও চাট্টিখানি কথা নয়। দুর্নীতি করতে যেমন বুকের পাটা লাগে, তেমন লাগে টাকা। সব দুর্নীতির পেছনেই অর্থের বিশাল ভূমিকা। এই অঙ্ক সরবরাহে মানুষ হেন কাজ নেই যা করে না। অর্থ, ব্যাংক ব্যালেন্স, বাড়ি, গাড়ি করাও একটা দুর্নীতি বলা যায়। কেননা সৎ থেকে সৎ পথে আয়-রোজগার করে রাতারাতি এই বিলাসী জীবনের দ্রব্য, আহার্য অর্জন কখনই সম্ভব নয়। সময়ের চাহিদা মিটাতে বিত্তবৈভব করতে অন্যায় পথে যেতেই হয়। আবার এই বৈভব অর্জন করে মানুষ যখন একটা অবস্থানে পৌঁছে তখন সে ভাবে আরও কিছু করা যায় কি না! নেশায়, জুয়ায় মেতে ওঠে প্রতিনিয়ত। টাকা দিয়েই টাকা কামানো আর একটা দুর্নীতি। বাজি ধরে জুয়ার আসরে লাখ টাকা ব্যয় করা মানুষের সন্ধান পেয়েছে দুনিয়া। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে। ইতোমধ্যেই তিনি সফল। বড় বড় রাঘববোয়াল যারা ভালর মুখোশে লুকিয়ে ছিলেন এতদিন। সবচেয়ে বড় কথা হলো এতদিন পাবলিক জানত সরকার কেবল বিরোধী দলকে নানা ছলে আটকায় কিংবা অতীতের তাদের নানা কেলেঙ্কারির কারণে। আজ যখন দেখল দলের একনিষ্ঠ কর্মীরা যারা নানা সংগ্রামে থেকে দলকে বলিষ্ঠ করেছে, নেতৃত্ব দিয়েছিল নানা আন্দোলনে তারাই আজ ফেঁসে গেছে। অর্থাৎ অন্যায় যে করবে কেউই আইনের উর্ধে নয় সরকার এটাই প্রমাণ করল। সাধারণ মানুষ আরও চায় সমাজের সর্বস্তরে, আনাচে কানাচে, আরও অনেক বিদ্ঘুুটে মানুষ রয়েছে যারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের হাতে হাতকড়া দেখতে চায়। যেমন পুলিশের এসআই ও কিছু অফিসার মা-বাবার অবাধ্য সন্তানদের সোর্স বানিয়ে অসহায় ভাল ছেলেদের পকেটে একটা ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে ধরিয়ে দেয়া। অথচ ওসি হয়ত জানেও না বিষয়টা কিভাবে হলো। মা-বাবাকে ফোন করে এসআই; তাও ছেলের নম্বর থেকে, থানার কোন নম্বর থেকে নয়। রাতের মধ্যে ৫০-৬০ হাজার টাকা কামিয়ে নেয় মামলার ভয় দেখিয়ে, সকালে কোর্টে চালান করবে বলে। ইজ্জতের ভয়ে মাবাবা টাকা ধার করে রাতেই থানা হতে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনে। মা-বাবাকে লিখিত নেয় কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয়নি। এসব আড়ালের সমস্যাগুলো সরকার জানে না। কে করবে সমাধান। পাবলিকের বলার জায়গাও নেই। চারদিকে ওৎঁ পেতে শত্রু তাদের। সমাজ, চক্ষুলজ্জা তাদের তাড়া করে। গ্রামের মেম্বার, চেয়ারম্যানরা থাকে নানা সব অন্যায় কাজে। এসব ইউপিদের সম্পর্কে হাজার অভিযোগ। সাধারণ জনগোষ্ঠীর চাহিদার জায়গা ও পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন ধারার ব্যাহতকারীদের শাস্তি চায় জনগণ। রাজনীতির জায়গাটা তাদের জন্য অতটা ব্যাঘাত না। তাই ওইসব নেতাদের ধরলেও তারা রাজনৈতিক ইস্যুই ভাবে। তাই সময় থাকতে দেশের জনগণের সমস্যায় হাত দেয়া উচিত। ফেনী থেকে
×