ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীর পুইছড়ী ফরেষ্ট অফিস সড়কের ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে

প্রকাশিত: ০২:৩১, ৩ অক্টোবর ২০১৯

বাঁশখালীর পুইছড়ী ফরেষ্ট অফিস সড়কের ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ী ইউনিয়নের ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন সেতুটি ভেঙ্গে গেছে। বাঁশ ও গাছ দিয়ে তৈরী তক্তার উপর দিয়ে গত দু’বছর ধরে সেতুটি পারাপারে শত শত নারী পুরুষ ও কৃষকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এ সড়কে সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ও বন্ধ রয়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলে ও কাজের অনিয়মের ফলে পাহাড়ী ঢলের পানির তোডে সেতুটির এক অংশ ধসে ভেঙ্গে যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। জানাযায়, পুঁইছড়ী ইউনিয়নের প্রেম বাজার হতে পূর্বে পাহাড়ী এলাকা পর্যন্ত ৫ কিলো মিটার সড়কের ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন সেতুটি স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে ২০০৮-০৯ সাল পর্যন্ত কাঠের তক্তার নির্মিত ছিল। তৎকালিন সরকার সড়কের উপর সেতুটির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রকৌশলী দপ্তর থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্রিজটি কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে সেতুটি মেরামতের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১৫ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত মূল্য পুঁইছড়ী ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন ব্রিজটি নির্মান করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করার পর গার্ডারে ফাটল দেখা দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মেরামতের মাধ্যমেই সেতুর কাজটি প্রশাসনকে হস্তান্তর করে যাতায়তের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। পুঁইছড়ী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জমান শেখ বলেন, সেতুটির ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে বাঁশের উপর দিয়ে অফিসের সাথে প্রশাসনিক দ্রুত যোগাযোগ সমস্যা হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের চিত্র সকলেই দেখছেন। সেতুটিতে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ ও পানি চলাচলের রাস্তার স্থানে রিটার্নীং দেওয়াল তৈরির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ব্রিজটি তৈরী করা প্রয়োজন। বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, জেলা পরিষদ থেকে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ থেকে সংস্কার করতে হলে মাসিক সভায় উপস্থাপনের মাধ্যমে সিন্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী বলেন, সেতুটির নির্মানের ব্যাপারে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে।
×