ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত এ তথ্য যাচাই করে দেখছে র‌্যাব

তারেককে ক্যাসিনোর টাকার ভাগ দিতেন লোকমান

প্রকাশিত: ১০:২০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 তারেককে ক্যাসিনোর টাকার ভাগ দিতেন লোকমান

শংকর কুমার দে ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্দরমহলের গোপন খবরাখবর সংগ্রহ করে তা পাচার করে দিতেন লন্ডনে অবস্থানকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। এমনকি তারেক রহমানকে ক্যাসিনোর টাকার ভাগবাটোয়ারাও দিতেন লোকমান। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া এই তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখছে তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। র‌্যাবের তদন্তে বের হয়ে আসছে সারাদেশে চলমান ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অসৎ ব্যবসার সঙ্গে রাজনীতিক, আমলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মন্ত্রী, এমপিসহ অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত। অবৈধ উপায়ে বেআইনীভাবে অসৎ পন্থায় কোটি কোটি টাকা উপার্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সরকারী দল ও বিরোধী দলের হেভিওয়েট ব্যক্তির জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসছে তদন্তে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, মন্ত্রী, এমপিসহ এমন ব্যক্তিদের নাম বের হয়ে আসছে যে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট র‌্যাব, ডিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, ক্যাসিনোর টাকা পাঠাতেন লন্ডনে অবস্থানকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। এমনকি সরকারী দলের গোপন খবরও পাচার করতেন লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে। টেন্ডারকিং জিকে শামীমের টাকা পেতেন মন্ত্রী, এমপিসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজের যাতায়াত ও যোগাযোগ ছিল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলে প্রভাবশালী মহলের অন্দরমহলে। তদন্তে ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অবৈধ ও অসৎ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম বেরিয়ে আসার ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ক্যাসিনো-জুয়ার কারবারে সরকারী দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জড়িত থাকার তথ্য পাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা পরিচয় দেয়া গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীম, কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এক সময়ের বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা রক্ষী প্রধান লোকমান হোসেন ভূঁইয়া জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা তো বটেই, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও পাঠাতেন ক্যাসিনোর টাকা। এমনকি ক্যাসিনোর টাকা পেতেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বও। লোকমান বলেছেন, অভিযানের আগেও যারা ক্যাসিনোর টাকার ভাগ বাটোয়ারা পেতেন এখন তারা সাধু সেজে গেছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক হোসেন ফালু ও বিএনপির শীর্ষ নেতা মীর্জা আব্বাসের হাত ধরে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দাপটের সঙ্গে দাবড়িয়ে বেড়ান লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিসিবির শীর্ষ নেতৃত্ব নাজমুল হাসান পাপনের দোস্ত বনে গিয়ে ক্যাসিনোর জগত দখল করে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারসহ দেশে অগাধ ধন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এমনকি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক প্রভাবশালী নেতার অন্দরমহলেও যাতায়াত ছিল লোকমানের। এই সুযোগে সরকারী দলের খবর পাচার করতেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে লোকমান বলেছেন, ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের গডফাদারদের মধ্যে শুধু ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটই নন, বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাও রয়েছেন, তারাও ক্যাসিনোর গডফাদার। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ২০১৬ সালেও তিনি লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন এবং ক্যাসিনোর টাকার ভাগ দেন। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের অন্দর মহলের খবরাখবরও দেন তারেক রহমানকে। রিমান্ডে থাকা যুবলীগ নেতা খালেদ ও ঠিকাদার জি কে শামীম বলেছেন, বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠ লুৎফর রহমান বাদলও ক্যাসিনো কারবারের সঙ্গে যুক্ত। যদিও মানি লন্ডারিং মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বর্তমানে নেপাল রয়েছেন তিনি। দেশে ক্যাসিনো কারবারে যেসব নেপালী এসেছিল তাদের পাঠাতে সহযোগিতা করেছিলেন বাদল। তিনি তারেক রহমানেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়া সাদেক হোসেন খোকা, মোসাদ্দেক আলী ফালু ও মির্জা আব্বাসের নাম বলেছেন খালেদ ও জি কে শামীম। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছেন, মতিঝিলসহ ঢাকায় ক্যাসিনো কারবার বিস্তারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যারাই জড়িত তাদের সঙ্গেই এসব শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার সম্পর্ক ছিল। খালেদ আরও বলেছেন, একসময় মতিঝিল পাড়া নিয়ন্ত্রণ করতেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার ভাই মির্জা খোকন। তাদের নির্দেশে তিনি মতিঝিল এলাকার ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো কারবারের পাশাপাশি জুয়ার আসর চালাতেন। জি কে শামীমও একসময় মির্জা আব্বাসের লোক ছিলেন। তাদের সঙ্গে সে সময় যুবদলের নিয়ন্ত্রণে ছিল ক্যাসিনো ও জুয়ার কারবার। সে সময়ও তাদের হাত দিয়ে দেশের বাইরে ক্যাসিনোর অর্থ পাচার হতো। নেপাল, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় বিএনপি ও যুবদল নেতারা ক্যাসিনোর টাকা পাচার করেন। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গেছে, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, একসময় তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেই সঙ্গে তার সঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সম্পর্ক ছিল। তিনি বিএনপির সময়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গেই ক্যাসিনো কারবার করতেন এবং ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো কারবারে তারও নিয়ন্ত্রণ ছিল। বর্তমানে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের মালিকদের মধ্যে অন্যতম হলেন মতিঝিল এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবাশ্বর চৌধুরী। বিএনপির সময় থেকে এই ক্লাবের জুয়ার আসরের নিয়ন্ত্রণ ছিল যুবদলের। এ ছাড়া মতিঝিলের দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, আজাদ বয়েজ ক্লাবেরও নিয়ন্ত্রণ ছিল বিএনপি ও যুবদলের হাতে। বর্তমান সরকারের সময় যুবলীগ ছাড়াও মতিঝিলের আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশির ভাগ নেতা ক্যাসিনো কারবার নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের বেশিরভাগই বিএনপির সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। র‌্যব সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের জি কে শামীম, খালেদ ও কালা ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে যারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করছে। টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনোর টাকার কমিশন কারা পেতেন- সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনেকের নাম বলেছেন। কমিশন নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশকিছু সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপির নাম রয়েছে। এই তালিকায় রাজধানীর বিএনপি ও যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের শীর্ষ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নামও রয়েছে। বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দুবাইয়ে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে খালেদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার তথ্যও মিলেছে। এখনও অধরা পুরান ঢাকার দুই ভাই ॥ পুরান ঢাকার গে-ারিয়ার ১০৬ লাল মোহনদাস লেনে মমতাজ ভিলা নামে এনামুল হক ভূঁইয়া-রূপনকে এখনও খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারাও ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত হয়ে কোটি কোটি টাকার ধন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। জুয়ার টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করতেন এই দুই ভাই। অবৈধ অস্ত্রের হুমকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্দিষ্ট কোন পেশা না থাকলেও তারা নগদ কোটি কোটি টাকায় পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, বংশাল, ইসলামপুর, কোতোয়ালি এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি কিনেছেন। সেগুলোর সন্ধান করছে র‌্যাব। তবে গতকাল রবিবার পর্যন্ত এই দুই ভাই আটক হননি। সূত্রাপুরের বানিয়া নগরের ৩১ নম্বর বাড়ির মালিকও এই দুই ভাই। এই ছয় তলা ভবনটিতেও থাকেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা। ভবনের দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় এনামুল হকের শ্যালক ও শাশুড়ি থাকেন। এই বাড়িরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় দুইটি সিন্দুকে মঙ্গলবার পাওয়া যায় ৭৩০ ভরি সোনা। তার সহযোগী আবুল কালাম ওরফে কালার বাসায় একটি সিন্দুক পাওয়া গেছে। যার মালিকও এনামুল। যেখান থেকে ২ কোটি টাকা, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। দুই ভাইয়ের বাসায় রাখা হয়েছিল টাকাভরা একটি সিন্দুক। ১৯৮৫ সাল থেকেই এনামুল ওয়ান্ডার্স ক্লাব ও রূপন আরামবাগ ক্লাবে জুয়া খেলতেন। একটা সময় তারা জুয়ার বোর্ডের মালিক বনে যান। সেখান থেকে আসতে থাকে কাঁচা টাকা। সেই টাকাতেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ফ্ল্যাট ও বাড়ি কিনেছেন তারা। জুয়ার বোর্ড থেকে যে টাকা আসত, সেই টাকার একটি অংশ বাসাতেই রাখতেন, রাখতেন সিন্ধুকে। শামীমের সাত দেহরক্ষীর জামিন নাকচ ॥ কোর্ট রিপোর্টার জানান, কারাগারে থাকা যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত। অস্ত্র আইনের মামলায় গতকাল রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আসামিদের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান হাওলাদারসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন শুনানি করেন। সাত দেহরক্ষী হলেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ জাহিদুল ইসালাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ সামসাদ হোসেন ও মোঃ আমিনুল ইসলাম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ আসামিদের চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে রবিবার জামিন আবেদনের শুনানি দিন ঠিক করেন। একইদিন তাদের মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর এ সাত আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন জি কে শামীমের অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে বিশেষ অভিযানে গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীমসহ সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় আসামি শামীমের ৩২ বোরের কাঠের বাঁটযুক্ত ৩৭ রাউন্ড গুলি, ৩টি গুলির খোসা এবং ৫ বোতল বিদেশী মদ পাওয়া যায়। দেহরক্ষীদের কাছ থেকে ১২ বোরের একটি করে শটগান পাওয়া যায়। আসামি শামীম একজন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়া ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। দেহরক্ষীরা আসামি শামীমের দুষ্কর্মের সহযোগী। তাদের সহায়তায় শামীম নিজ নামীয় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, হরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে জানা যায়। তাদের নিকট হতে বিপুল পরিমাণ দেশী ও বিদেশী মুদ্রা এবং এফডিআর উদ্ধার হয়।
×