ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ ॥ মিথ্যা মামলায় দিয়ে হয়রানির অভিযোগে দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফরিদ আহমদ তারেকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাঁর গ্রামবাসী। সোনাপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার আমবাড়ী বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবুল কালাম আজাদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,‘আমরা সবাই আওয়ামী লীগ কর্মী হওয়ার পরও তাঁর কথা মতো অন্যায় কাজে সহযোগিতা না করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ-পদবী ব্যবহার করে ফরিদ আহমদ তারেক ও তার ভাই মাসুক মিয়া গ্রামের নিরীহ জনসাধারণকে হয়রানি করছেন। স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগসাজোশ করে নারি নির্যাতন, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অসামনজস্যপূর্ণ মামলায় নিরীহ জনগণকে জড়িয়ে দিচ্ছেন। এরকম ২০-২৫টি মামলা আদালতে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ভুক্তবোগীদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি বিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বর্তমানেও ৫টি মামলা চলমান রয়েছে। আরোও বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ভয়ভিতি দেখাচ্ছেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরোও জানান, তার অনৈতিক কাজ কর্মকান্ডের বিপক্ষে কথা বললেই বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হয়। আর পক্ষ অবলম্বন করলে তাদেরকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মামলা থেকে দূরে রাখা হয়। আমরা নিরিহ গ্রামবাসী এই মামলাবাজের হাত থেকে রেহাই পেতে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরোও জানানো হয়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা মার্কার প্রাথীর বিরোধিতা করেন এবং নিজেকে খাটি আওয়ামী লীগার দাবি করছেন। যার ফলে আমাদের মতো তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীগণ বিভ্রান্ত হয়ে পরছে। স্থনীয় প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাই মাসুক মিয়ার বিরুদ্ধে সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসির এই অভিযোগটি জেলা প্রশাসনের তদন্তধীন রয়েছে রলে জানান তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আলীনূর, ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শহীদ, সোনাপুর গ্রামের এরর্শাদ আলী, আব্দুল ওয়াদুদ, আবুল কালাম, সুরুজ আলী, রফিক মিয়া, আতাউর রহমানসহ শতাধিক গ্রামবাসী।
×