ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার

প্রকাশিত: ০২:২০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নান্দাইলে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও নান্দাইল উপজেলার পুরহরি গ্রামে নরসুন্দা শাখা নদীর ওপর কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই নিজেদের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হন ক্ষুদে শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী। সরজমিনে নরসুন্দা নদীর পাড়ে সাঁকোটির পাশে গিয়ে দেখা যায়, আমোদাবাদ, পুরহরি, চাঁনপুর, মেরাকোনা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে নান্দাইল পৌর সদর সহ আশপাশে চলাচল করেন। সাঁকো সংলগ্ন আমোদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। উপজেলা সদরে যাবার পাকা সড়কটিও বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশ দিয়ে চলে গেছে। বিদ্যালয়টির অনেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থ মানুষকে উপজেলা শহরে নিয়ে আসতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। বছরের বেশির ভাগ সময় নদীতে পানি থাকে। আর বর্ষাকালে ১৮ থেকে ২০ ফুট গভীর পর্যন্ত পানি হয়। তার উপর তিব্র সৌত। এর মধ্যে বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছে। সাঁকোর পাশে রয়েছে একটি স্মৃতি ফলক। যেটি স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন ১৮ সালের ৩১ অক্টোবর মাসে ৪৫ মি: দীর্ঘ একটি আর সি সি সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু আজো তা নির্মাণ করা হয়নি। সাঁকো সংলগ্ন আমোদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল করিম খান বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা এই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে। প্রায় সময় সাঁকো পাড় হতে গিয়ে পানিতে পড়ে যাওয়ার খবর আসে। তাই তিনি সহ অন্য শিক্ষকরা আতঙ্কে থাকেন। নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, নরসুন্দা নদীর উপর সেতুটির জন্য ইতিমধ্যে তিনবার দরপত্র আহবান করা হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার পাওয়া যায়নি। আবার দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এবার আশা করছি ঠিকাদার পাব।
×