ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভবতী মায়ের পেটেই শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মাদারীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভবতী মায়ের পেটেই শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিল বাড়ী এলাকায় শুক্রবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় জিতু আক্তার (২৫) নামে এক গর্ভবর্তী মহিলার পেটে থাকা নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। রাতে গুরুতর আহত গর্ভবর্তী জিতু আক্তারকে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে সিজার করে পেট থেকে মৃত শিশু বের করা হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘটমাঝির উকিল বাড়ী এলাকার শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার (৩০) তার চাচাতো ভাই জহির হাওলাদার (৩৫) এর কাছে একটি মটরসাইকেল বন্ধক রেখে লাভ দেওয়ার কথা বলে টাকা ধার নেয়। কিছুদিন পরে রাজু বন্ধক রাখার মূল টাকা জমা দিয়ে মটর সাইকেল নিয়ে নেয়। কিন্তু লাভের টাকা দেয়নি। এই লাভের টাকাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জহির হাওলাদার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ রাজুর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় রাজুর মা সাফিয়া বেগম (৫৩), স্ত্রী গর্ভবর্তী জিতু আক্তার (২৫), ছোট ভাই জসিম হাওলাদার (২৪), নাছিম হাওলাদার (২০) আহত হয়। এদের মধ্যে সাফিয়া বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জসিম ও নাছিম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলায় গুরুতর আহত গর্ভবর্তী জিতু আক্তারকে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে রাতে সিজার অপারেশন করা হয়। এ সময় জিতু আক্তারকে সিজার করে তার পেট থেকে মৃত শিশু বের করা হয়। প্রসূতির অবস্থা শংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। রাজু হাওলাদার বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই জহিরের কাছে মটরসাইকেল রেখে টাকা ধার নেই। আমি মূল টাকা দিয়ে মটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিয়ে আসি কিন্তু লাভের টাকাটা দেয়া হয়নি। লাভের টাকার জন্যই জহির রাতে লোকজন নিয়ে আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে গর্ভবর্তী স্ত্রী, মা ও ভাইদের মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহত সবাইকে রাতে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। হামলায় আমার স্ত্রীর গর্ভে থাকা সান মারা যায়। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’ প্রত্যাশা প্রাইভেট হাসপাতালের ডা. এলিজা বলেন, ‘আমরা রাতে অপারেশন করে দেখি শিশুটি মারা গেছে। গর্ভবর্তী এ মহিলার পেটে গুরুতর আঘাত লাগার ফলে গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।’ মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমি সদর হাসপাতালে ও প্রত্যাশা প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে কথা বলে এসেছি। গর্ভবর্তী মহিলা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় শিশুটি পেটেই মারা যায়। থানায় অভিযোগ দিলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
×