নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী ॥ ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাতের হত্যা মামলায় ফেনীর মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তির্তক শেষ হয়েছে। আজ রবিবার আসামি পক্ষের দেয়া গত ক’ দিনের যুক্তিতর্কে আইনগত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসামি পক্ষের যুক্তির্তক খন্ডন করবেন রাষ্ট্র পক্ষ ও বাদী পক্ষের আইনজীবীগন। আদালত আগামী রবিবার মামলার রায় ঘোষনার দিন ধায্য করার কথা রয়েছে।
বিচার শুরুর ৪৭ কায্য দিবসে ৮৭ জন স্বাক্ষী স্বশরীরে আদালতে এসে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার অভিযোগ পত্রে ৯২ জন স্বাক্ষীর নাম দিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই। বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ধায্য তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী করাগার থেকে ১৫ জন আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে । আসামি কামরুন নহার মনি সন্তান জন্ম দেয়ার কারনে হাসপাতালে থাকায় আদালত তার হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন। দুপুরে নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারিক মো: মামুনুর রসিদের আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়।
গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথম পত্র দিতে মাদ্রাসায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ডেকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে যায়। পরে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫দিন পর গত ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে সোনাগাজীতে তার নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। পিবিআই ও পুলিশ এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে হত্যায় সরাসরি জড়িত ৫ জনসহ ১২ জন আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্ধী দেয়। গত ২৯ মে দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে নুসরাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কমকর্তা পিবিআই ইনসপেক্টর শাহআলম আদালতে ১৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে চাজসীট জমা দেন। এ মামলায় আটক থাকা চাজসীটের বাইরের ৫ জনকে বিচারিক আদালত মামলার দায় থেকে অব্যহতি দেন।
