ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার সব অবৈধ রিকশা-যানবাহন বন্ধ করা হবে : মেয়র সাঈদ খোকন

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঢাকার সব অবৈধ রিকশা-যানবাহন বন্ধ করা হবে : মেয়র সাঈদ খোকন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে চলাচলকারী রিকশাসহ অবৈধ সব ধরনের যানবাহন শিগগিরই বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবনে অনুষ্ঠিত মহানগরীর অবৈধ যানবাহন বন্ধ, ফুটপাথ দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধ বিষয়ক সভা শেষে তিনি একথা জানান। অবৈধ যানবাহন বন্ধ প্রসঙ্গে সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ফুটপাত দখলমুক্ত প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে গুলিস্তান, নিউমার্কেট ও মতিঝিলে হকার উচ্ছেদের কার্যক্রম চালিয়েছে। হকার ভাইদের বলা হয়েছে অফিস সময়সূচি শেষে তারা ফুটপাতে বেচাকেনা করতে পারবে। ‘তারপরেও এ নির্দেশনা লঙ্ঘন হচ্ছে। গুলিস্তান, নিউমার্কেট ও মতিঝিল এলাকার সমস্ত ফুটপাত অফিস চলাকালীন হকারমুক্ত রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একযোগে কাজ করবে।’ তিনি বলেন, ঢাকার অন্য এলাকাতেও পথচারীরা যেন নির্বিঘ্নে শহরের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রাজউক একযোগে ব্যবস্থা নেবে। নির্মাণাধীন স্থাপনা প্রসঙ্গে সাঈদ খোকন বলেন, রাজধানীতে বিল্ডিং কোড মানে না, বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে র্যাম্প ফুটপাতে চলে আসে, ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে পথচারীদের পথচলায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়। সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে অনতিবিলম্বে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। ‘আজকের সভায় অবৈধভাবে পার্কিংয়ের বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। নো পার্কিং জোনগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। অন স্ট্রিট পার্কিংয়ের বিষয়ে কিছু সুপারিশ রয়েছে। আগামী সভায় এ বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলমান জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে যদি কোনো জনপ্রতিনিধি জড়িত থাকে তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ জড়িত থাকলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান উদ্যোগ দেশের ১৭ কোটি মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা আমাদের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি। এর আগে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মো. সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে ডিটিসিএ সভায় ডিএনসিসি প্রতিনিধি, পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি ও গাজীপুর), চেয়ারম্যান বিআরটিসি/বিআরটিএ/রাজউক, সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×