অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছে, আমরা দানাদার খাদ্য শস্যে স্বয়ংসম্পুর্ণই । আমাদের চাহিদার চেয়ে আলু টমেটো উদ্বৃত্ত থাকে। এক্ষেত্রে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। আমাদেও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিতে সহযোগিতা প্রয়োজন। কৃষিকে লাভজনক করতে সরকার চাচ্ছে এখন থেকে অপ্রচলিত মূল্যবান ফসলের আবাদ সম্পসারণ করতে।
সোমবার মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে হাইটেক সিডের চেয়ারম্যান জিয়াং সানকুইও এর নের্তৃত্বে প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রচলিত কৃষি থেকে অপ্রচলিত লাভবান ফসলের আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটি ড্রাগন, রামবুটান, কফি, কাজুবাদাম, অ্যাবোকাডোসহ নানা অপ্রচলিত লাভবান ফসলের জন্য উপযোগি।
জিয়াং সানকুইও বলেন, হাইটেক সিড চীনের সর্ববৃহৎ বীজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। আমাদের টি-আমনের ও সবজির উন্নত জাতের বীজ রয়েছে। বাংলাদেশে বীজের সম্পসারণের জন্য সহায়তা চান তারা। এসময় তারা টি-আমনের নতুন সুগন্ধি জাতের ধানের ছড়া দেখান মন্ত্রীকে। বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে চায় হাইটেক। বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপনের পরিকল্পার কথা জানান জিয়াং।
কৃষি মন্ত্রী এসময় তাদের সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য জমি ক্রয়ের পরামর্শ দেন। এবং তাদের উন্নত জাতের বীজ সম্পসারণের জন্য বিএডিসি’কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবেন বলে জানান। সরকার তাদের প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিবে।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন হাইটেক সিডের ভাইস চেয়ারম্যান চু লিংফ্যাং, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এস বি নাসিম, প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্ঠা ড. এম এ বারী।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: