ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নওগাঁর ধামইরহাট-জয়পুরহাট মহাসড়কের গর্তগুলো যেন মরণ ফাঁদ

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নওগাঁর ধামইরহাট-জয়পুরহাট মহাসড়কের গর্তগুলো যেন মরণ ফাঁদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর ধামইরহাট-জয়পৃুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বড় বড় গর্তগুলো যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। যত্রতত্র খানাখন্দে ভরা বেহাল দশায় রাস্তায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগী জনসাধারনকে। আঞ্চলিক এই মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন ক্ষতিগ্রস্থ ও জনসাধারণকে প্রায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় প্রতিনিয়ত। ধামইরহাট থেকে জয়পুরহাট যাবার এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি সীমান্তবর্তী সড়ক হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হলেও সংস্কারের অভাবে কমছে না ভোগান্তি। ধামইরহাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি ধামইরহাট বাজার সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে হরিতকীডাঙ্গা, শল্পীবাজার, নানাইচ মোড় এবং মঙ্গলবাড়ি বাজারের সামনে পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় পিচ এবং খোয়া, বালি উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট, বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি দীর্ঘ সময় সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার এক পাশ নীচু হয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এলাকার সচেতনমহল এমন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষার্থে দ্রুত এই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়কটি সংস্কারের দাবি জানান। এবিষয়ে ধামইরহাট উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সরকারি এম এম ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, জনগনের ভোগান্তি লাঘব করতে রাস্তাটি সংস্কার অতীব জরুরী। ব্যবসার ক্ষেত্রে দেশের প্রায় বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল আনা-নেয়া করেন ধামইরহাটের ব্যবসায়ীরা। সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে ব্যবসায়ীদের গাড়ি ভাড়াও গুনতে হয় কয়েকগুন বেশি।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গাড়ি চালক বলেন, রবিবার সন্ধ্যার পরে উপজেলার জনপ্রিয় হাট থেকে গরু কিনে ফিরছিলাম। রাস্তার এমন বেহাল দশায় অল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেছি। এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হামিদুল হক জানান, স্থানীয় সাংসদ মহোদয় ডিও লেটার দেয়ায় প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দে ধামইরহাট থেকে মঙ্গলবাড়ি রাস্তার সংস্কারে টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আশাকরি এক দেড় মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।
×