ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের ফান্ড সংগ্রহ চেষ্টার প্রতি সিসিএনএফ ও ইক্যুইটিবিডির সমর্থন

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জাতিসংঘের ফান্ড সংগ্রহ চেষ্টার প্রতি সিসিএনএফ ও ইক্যুইটিবিডির সমর্থন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কক্সবাজার সিএসও ও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ) এবং ইক্যুইটিবিডি রবিবার এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের সঙ্কট মোকাবেলায় তহবিল সংগ্রহের জন্য জাতিসংঘ চেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছে। নিউইয়র্কে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় তহবিল সংগ্রহের জন্য জাতিসংঘের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সিসিএনএফ এবং ইক্যুইটিবিডি একই সঙ্গে তহবিল সংগ্রহ ও ব্যবহারে, সর্বোপরি পুরো রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও স্থানীয়করণ নিশ্চিত করারও দাবি জানায়। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় কাজ করছে এমন ৫০ স্থানীয় এবং জাতীয় সিএসও-এনজিওর নেটওয়ার্ক হলো সিসিএনএফ, অন্যদিকে অধিকারভিত্তিক নাগরিক সমাজ সংগঠন এবং ব্যক্তিগত ক্যাম্পেনারদের জাতীয় নেটওয়ার্ক হলো ইক্যুইটিবিডি। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় ২০১৯ সালের জন্য তৈরিকৃত যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা (জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বা জেআরপি) অনুযায়ী মোট চাহিদা ছিল ৯২০ মিলিয়ন ডলার। প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় তহবিলের মাত্র ৩৮ শতাংশ সংগ্রহ করা গেছে। জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাগুলো উল্লেখিত এই বৈঠকের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের জন্য আবারও চেষ্টা করছে, এই উদ্যোগকে সমর্থন করছে সরকারও। বিবৃতিতে সিসিএনএফ বলেছে, আগস্ট ’১৭ সালের মধ্যে রোহিঙ্গা আগমন শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রাণ সহায়তার স্থানীয়করণ এবং স্বছতার দাবি ছিল শুরু থেকেই। ১৮-১৯ সালের জেআরপিতে, এমনকি জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাগুলোও স্থানীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন খুবই নগণ্য। মানবিক সহায়তার স্থানীয়করণ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা এবং বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক এনজিও (আইএনজিও) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কারণ তারা তুরস্কের ইস্তানম্বুলে ১৬ সালের মে মাসে এ সম্পর্কিত গ্র্যান্ড বার্গেন নামের একটি সনদে স্বাক্ষর করেছে। ’১৮ সালের সেপ্টেম্বর ‘গ্লোবাল লোকালাইজেশন টিম’ নামে একটি বিশেষ দল বা মিশন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সহায়তা কার্যক্রমে স্থানীয়করণের পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসে। আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব রেডক্রস ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত ওই মিশন বাংলাদেশে স্থানীয়করণে নিশ্চিত করতে দশটি সুপারিশ করে যায়। স্থানীয়করণের অর্থ হলো মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় সিএসও-এনজিওদের অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব, এর মাধ্যমে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে পরিচালন ব্যয় কম হবে, এবং সবার জন্য উন্নয়ন (হোল অব সোসাইটি) নিশ্চিত হবে। সিসিএনএফ শুরু থেকেই ক্রমাগত এসব দাবি জানিয়ে আসছে। মানবিক সহায়তার প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ আসছে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থাগুলোর মাধ্যমে। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত মোট অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে ১.৩২ বিলিয়ন ডলার, সেই হিসেবে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিল আনুমানিক ৬২১৪ ডলার। ’১৭ সালে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য মাসিক বরাদ্দ ছিল আনুমানিক ৪৯৮ ডলার, ১৮ সালে প্রতি পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রতি মাসে প্রায় ২৫৭ ডলার এবং এখন পর্যন্ত ’১৯ সালে পরিবারপ্রতি এই বরাদ্দের পরিমাণ ২০৪ ডলার।
×