বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল সাবেক শিক্ষার্থী। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা উপাচার্যে কুশপুতুল দাহ করেন। ঢাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বশেমুরবিপ্রবির প্রায় ৩০ জন সাবেক শিক্ষার্থীতে এতে অংশ নেন।
এ সময় তারা ‘ভিসির পেটোয়া বাহিনীর অবিলম্বে গ্রেফতার চাই’, ‘সন্ত্রাসী হামলায় প্রশাসন চুপ কেন’, ‘আমার ভাই বোনের রক্ত ঝরালে কেন, জবাব চাই জবাব চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে তার বিচার করতে হবে। উপাচার্য নাসিরউদ্দিন শিক্ষার্থীদের সব অধিকার খর্ব করেছেন। তারা তারা অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেন।
মোঃ কামরুল ইসলাম নামের একজন সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, ভিসি নাসির উদ্দিন বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমিতে থাকতে পারেন না। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদকে কলুষিত করেছেন।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের সূত্রপাত হয় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জিনিয়ার একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। একটি জাতীয় দৈনিকের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে এই অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৪টি বিষয়ে আশ্বাস দেয়া হয়, যার মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ ছাড়া বহিষ্কার না করা, অভিভাবকদের ডেকে এনে অপমান না করা এবং ফেসবুক পোস্ট ও কমেন্টকে কেন্দ্র করে কোন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে না বলে বলা হয়।
তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন কর্মসূচীসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। তারই প্রেক্ষিতে শনিবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীদের হামলায় সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। বহিরাগতদের দিয়েই উপাচার্য এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করছে শিক্ষার্থীরা।