ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রিফাত হত্যা মামলা

আইনী পরামর্শের জন্য মিন্নি ও তার বাবা ঢাকায়

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 আইনী পরামর্শের জন্য মিন্নি ও তার বাবা ঢাকায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি ও নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি চিকিৎসা ও আইনী পরামর্শ নিতে বাবার সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন। ঢাকায় এসেই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আইনজীবী জেড আই খান পান্নার চেম্বারে যান। এ সময় সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনও সেখানে যান। সেখানেই মিন্নি ও তার বাবাকে আইনী পরামর্শ দেয়া হয়। শনিবার বরগুনা থেকে রওয়ানা হয়ে রবিবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছান তারা। সাক্ষাতের পর এ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল নিয়ে প্রশ্ন তুলে জেড আই খান পান্না বলেন, হত্যাকারীদের, দোষীদের শাস্তি থেকে আড়াল করার জন্যই জামিনের পরদিনই অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এখনও চার আসামি পলাতক। তাদের ধরার জন্য কোন আগ্রহ নাই, খালি মিন্নি, মিন্নি, মিন্নি। চার্জশীটের কথাতো আগেই বলেছি, আগাগোড়াই এটা একটা মনগড়া উপন্যাস। জজ মিয়া এবং জাহালমের আরেকটা সংস্করণ। পুলিশ ও প্রভাবশালী মহল ওকে চরিত্রহীন হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। আজকে হোক, কালকে হোক আমি এটা দেখে নেব আইনগতভাবে। কোন দুঃসাহসে এটা করতেছে! এটা তাদের মাথায় থাকা উচিত কেউ আইনের বাইরে না। আইন প্রয়োগকারী হয়ে তারা বেআইনী কাজ করবে, সেই দেশ আমরা সৃষ্টি করি নাই। মিন্নির আইনজীবী জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ওরও (মিন্নির) ইচ্ছা ছিল, আমারও ইচ্ছা ছিল দেখা করার। আমরা তো কেউ কাউকে চিনি না। একটা প্রেক্ষাপটে আমরা পরস্পরকে চিনতে পেরেছি। সে আমার কন্যাতুল্য। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি আমার নৈতিক দায়িত্ব পালন করেছি। এখন ও দেখা করতে এসেছে। তাছাড়া দুইটা বিষয় আছে। এক, মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে এখন কী করবে না করবে তার পরামর্শ নিতে এসেছে। তাছাড়া আমার কৌতূহল ছিল সেখানে (আদালতে) কি দিয়েছে, না দিয়েছে সেগুলো দেখার। তাই এখন পর্যন্ত আদালতে যেসব দাখিল করা হয়েছে তা তুলে নিয়ে এসেছে। দ্বিতীয়ত মিন্নি শারীরিকভাবে অসুস্থ, চিকিৎসার প্রয়োজন। কোন কিছুই তো তার (মিন্নির) জীবনের বিনিময়ে হতে পারে না। আগে তার সুস্থ থাকতে হবে। এর সঙ্গে তার আত্মসম্মান। তবে প্রথমত তার সুস্থতা ও জীবন, পরে অন্যকিছু। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমাদের ঢাকায় আসার উদ্দেশ্য হলো সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না স্যারের সঙ্গে দেখা করা এবং তার আইনী পরামর্শ নেয়া। তাছাড়া মিন্নি অসুস্থ। পুলিশ রিমান্ডের নামে তাকে যে নির্যাতন করেছে। আজকে মিন্নি তারই ভয়াবহতায় ভুগছে। ওর হাঁটুতে, বুকে ব্যথা। আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নেব। ওর চিকিৎসার একান্ত প্রয়োজন। জেলখানায় যে পেইন কিলার দিয়েছিল, ওটা খাওয়ার পর ওর আরও ক্ষতি হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ীই সেটা বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন ঢাকায় ডাক্তার দেখাব। কি ধরনের শারীরিক বা মানসিক সমস্যা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওকে ব্যাপক মারধর করেছে। শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে পেটানো হয়েছে। মানসিক নির্যাতন করেছে। পুলিশ লাইনসে ধওে নেয়ার পর যতক্ষণ ছিল, আমার মেয়েকে বসতে দেয়নি, দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
×