ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঋণ দিতে ঢাকায় ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছেন বিদেশীরা ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 ঋণ দিতে ঢাকায় ব্রিফকেস নিয়ে  হাঁটছেন  বিদেশীরা ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। মাথাপিছু আয় বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশকে এখন ঋণ দিতে ঢাকায় বিদেশীরা ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছেন। বিলিয়নস অব ডলার ঋণ দিতে চায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ, চায়নিজ ব্যাংকসহ অন্যরা। এ অবস্থায় কেন আমরা ডোনার ফান্ড চাইব। প্রয়োজন হলে আমরা ঋণ নেব এবং সময়মতো তা পরিশোধও করব। শনিবার চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত ‘এসডিজি অর্জনে ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান একথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা সাদাকে সাদা বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যারা দেশ পরিচালনা করছি, ‘উই উইল সেক্রিফাইস এভরিথিং, বাট নট আওয়ার ডিগনিটি’। মন্ত্রী বলেন, দেশের মাইক্রো ক্রেডিট প্রতিষ্ঠানসমূহের মাত্র এক শতাংশ মূলধন ডোনার ফান্ড থেকে আসে। তাহলে এটা নিয়ে এত কথা বলার কি আছে- প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী। ফান্ড যদি ইনসাফিশিয়েন্ট হয়, ভয়ের কিছু নেই। আমরা প্রয়োজনে ঋণ নেব, তবে ডোনার শব্দটি ব্যবহার করা আমাদের জন্য অপমানজনক। উই ডোন্ট লাইক দিস। মন্ত্রী বলেন, ১৯৯২, ১৯৭৩ বা ১৯৭৪ সালে বহু ডোনেশন আসত। আমরা সেগুলো নিতাম। এসব নিয়ে বিদেশীরা বাহাদুরি দেখাত। কিন্তু এখন আর তাদের সেই বাহাদুরি দেখানোর দরকার নেই। সোজা কথা কেউ যদি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরাও আমাদের হাত বাড়াব। তবে প্রভুত্ব মানব না। মন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে মাইক্রো ক্রেডিট কার্যক্রম চালাতে গিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানির অভিযোগ উঠছে। সার্ভিস চার্জ কমানো এবং ঋণের সুদসীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। দ্রুত যাতে এসব বিষয়ে সমাধান হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখব। ব্র্যাকের সিনিয়র উপদেষ্টা ও সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনএমএর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মমতার প্রধান নির্বাহী রফিক আহাম্মদ, অন্তর সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা এমরানুল হক চৌধুরী, ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান, পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লোকমান হাকিম প্রমুখ।
×