ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তাদের পতন আসন্ন ও অনিবার্য ॥ ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 তাদের পতন আসন্ন ও অনিবার্য ॥ ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১৯৭১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দিনটি ছিল বুধবার। এই দিন মুক্তিফৌজের এক প্লাটুন সৈন্য জয়চাঁদপুরে এ্যামবুশ করে। পাকসেনাদের একটি কোম্পানি এতে আক্রান্ত হয়। মুক্তিফৌজের ক্ষুদ্র এ্যামবুশ পার্টির জন্য এটা একটু বড় হয়ে যায়। মুক্তিফৌজের ২ জন আহত হয় এবং ২টি রাইফেল, ১টি মর্টার ও ১টি স্পেয়ার ব্যারেল এলএমজি শত্রুদের দখলে চলে যায়। সন্ধ্যায় শ্রীনগর এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পাকসেনাদের মাঝে গুলি বিনিময় হয়। ৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কাটাখালী বিদ্যুতকেন্দ্রে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর মর্টারের সাহায্যে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়। ২নং সেক্টরে সুবেদার গোলাম আম্বিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল শ্রীপুর এলাকায় পাক হানাদারদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাক হানাদার বাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। পাকবাহিনীর দুই কোম্পানি সৈন্য কুষ্টিয়ার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে মুক্তিবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। মুখোমুখি সংঘর্ষে পাকহানাদার বাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও ৫ জন গুরুতরভাবে আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। মুক্তিফৌজের সৈনিকদের জ¦ালাতনে চারগাছা বাজার, শিমরাইল এলাকায় পাকসেনাদের বিপর্যয়ের ফলে তারা পুনরায় ব্যাপকভাবে সৈন্য সমাবেশ ঘটায় এবং চাপ বৃদ্ধি করতে থাকে। এতে মুক্তিফৌজের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হয়। ঢাকা এবং ফরিদপুর যেসব গেরিলাদল পাঠানো হতো তারা এই এলাকার ভেতর দিয়ে যাতায়াত করত। পাকসেনাদের তৎপরতায় অনুপ্রবেশ পথগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়। মুক্তিবাহিনীর ৬০ জন গেরিলার একটি দল ভারতের মেলাঘর ক্যাম্প থেকে গেরিলা ট্রেনিং শেষে চারটি নৌকায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পথে শালদা নদীতে পাকসেনাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর দুটি নৌকা পানিতে ডুবে যায়। এতে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। তিনটি স্টেনগান, চারটি রাইফেল এবং কিছু টাকা ও ১০০০ রাউন্ড গুলি পানিতে পড়ে যায়। গেরিলারা আহত ও শহীদের নিয়ে মুক্তিফৌজের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। এই রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কোটা নামক এলাকায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৪ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে। চম্পকনগর সীমান্ত ফাঁড়ি এবং প্রধান সড়কের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বল্লভপুর এলাকা দখল করার জন্য মুক্তিফৌজ প্রচেষ্টা চালায়। আক্রমণের আগে ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনী লক্ষ্যস্থলের ওপর গোলাবর্ষণের মাধ্যমে শত্রুর সুদৃঢ় অবস্থানগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করে। পাকিস্তানী বাংকারগুলো ছিল খুব মজবুত। প্রতিটি প্রতিরক্ষা বাঙ্কারেই শত্রুরা ভূগর্ভে কয়েকদিন থাকার মতো রসদপত্র মজুদ রেখেছিল। ঘাঁটিগুলোর মধ্যে ট্রেঞ্চ পথে যোগাযোগ ছিল। পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীতে ঘোষণা করেন, তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানের উপনির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি জানুয়ারির আগেই দেশে পূর্ণ সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করে একইসঙ্গে কেন্দ্র ও প্রদেশসমূহের ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। গবর্নর ডাঃ এএম মালিকের সভাপতিত্বে সেক্রেটারিয়েটের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নবনিযুক্ত মন্ত্রীরা তাদের পাকিস্তান প্রীতির নিদর্শন হিসেবে নিজেদের বেতন-ভাতা কমিয়ে নেয়। গবর্নর ডাঃ এএম মালিক সংবাদপত্র ও বার্তা প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ করে দেয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সঙ্গে এমআরএ রেজভীর নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও পুরনো ঢাকার বিহারী নেতারা সাক্ষাৎ করেন। মতিউর রহমান নিজামী ইসলামী ছাত্রসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, মাদ্রাসা ছাত্ররা দেশ রক্ষায় একযোগে এগিয়ে এসেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার পরিবেশিত সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিস্থিতির এই ক্রমাবনতিতে পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষ আজ দারুণ উদ্বিগ্ন। বিশ্বজনতার এই উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল উথান্টের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে। গত ১৯ সেপ্টেম্বরে এক বিবৃতিতে তিনি বিশ্বের রাষ্ট্রবর্গের প্রতি এক দারুণ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনাবলী বর্তমানে যেভাবে জটিল হয়ে পড়েছে সেখানকার পরিস্থিতি বর্তমানে যেভাবে দ্রুত অবনতির দিকে গড়িয়ে চলেছে এবং এর ফলে প্রতিনিয়ত যেভাবে জটিল থেকে জটিলতর সমস্যাদির উদ্ভব ঘটছে তাতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর পক্ষে দারুণ উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। রয়টার পরিবেশিত এক খবরে জানা যায়, পাকিস্তানী সেনানায়ক ইয়াহিয়া খান গত মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরান গিয়ে পৌঁছেছে। তেহরানের ইংরেজী দৈনিক ‘তেহরান জার্নাল’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার আরও জানিয়েছে, পাকিস্তান ও ভারতের বর্তমান সংঘাতে ইরানের মধ্যস্থতা করার সম্ভাবনা রয়েছে। পত্রিকাটিতে এমনও বলা হয়েছে, অক্টোবরে পারস্য স¤্রাজ্যের আড়াই হাজারতম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে ইয়াহিয়া খান ও ভারতীয় নেতাদের বৈঠকের চমৎকার সুযোগ করে দেয়। ঠিক একই দিন ঢাকা থেকে এক বেতার ভাষণে বাংলদেশের অধিকৃত এলাকার কথিত গবর্নর মালিক বলেছেন, তিনি ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে। দুটি খবরের উৎসস্থল তেহরান ও ঢাকার মধ্যে দূরত্ব হাজার হাজার মাইল। কিন্তু আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে খবর দুইটির সারসংক্ষেপে। তবু এ কথা সত্য যে, সমস্যার কেন্দ্রভূমি বাংলাদেশ হওয়া সত্ত্বেও ইয়াহিয়া ধরনা দিয়েছে ইরানের দরবারে, উদ্যোগ-আয়োজন চলছে ইয়াহিয়ার সঙ্গে ভারতীয় নেতাদের বৈঠকের। আর এদিকে ইয়াহিয়ার ভাড়াটিয়া গবর্নর মালিক বাস্তচ্যুত বাঙালী শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনবার জন্য আলোচনা করতে চাইছে ভারতীয় মন্ত্রীবর্গের সঙ্গে। কিন্তু কেন? বিশ্ববাসী জানেন ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ কোন বিরোধ নেই। আসলে সংঘাত চলছে, যুদ্ধ চলছে শেখ মুজিবের স্বাধীন বাংলাদেশ এবং উপনিবেশবাদী পশ্চিম পাকিস্তানী জঙ্গীশাহীর মধ্যে। রক্তপাত, বর্বরতা, লুটতরাজ, নির্যাতন চলছে বাংলার মাটিতে-এসব করছে ইয়াহিয়ার লেলিয়ে দেয়া বর্বরবাহিনী। সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে অমিতবিক্রমে লড়ে চলেছে হানাদার পশ্চিম পাকিস্তানী সেনাদস্যুদের বিরুদ্ধে। নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানকারী ২৪টি দেশ একবাক্যে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি সংগ্রামী মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিনাশর্তে মুক্তি দাবি করেছে। গত সোমবার সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে স্বাধীন বাংলাদেশেকে স্বীকৃতি দিয়ে সর্বপ্রকার রাজনৈতিক ও আর্থিক সাহায্য দানের জন্য বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ভারতের সর্বোদয় নেতা শ্রী জয়প্রকাশ নারায়ণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দান বন্ধ করা এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত সমুদয় সাহায্য সামগ্রী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে বিলি-বণ্টনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়। এদিকে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সংসদীয় সম্মেলনে বাংলাদেশে হানাদার পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা করে বাংলাদেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে। সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তি দাবি করে বলা হয়েছে, তার মত কালজয়ী নেতাকে আটক রাখা গর্হিত অন্যায়। আফগানের বাদশাহ জহির শাহের মস্কো সফরশেষে প্রকাশিত সোভিয়েত-আফগান যুক্ত ইশতেহারেও বাংলাদেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের সুপারিশ করা হয়েছে। এমনকি, বাংলাদেশে হানাদার পশ্চিম পাকিস্তানী সেনাদস্যুদের বর্বর হত্যাযজ্ঞের নীরব দর্শক জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল উথান্ট শেষ পর্যন্ত বিবেকের তাড়নায় বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, মানবিক মূল্যবোধের মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতির ভিত্তিতে রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মূল সমস্যার সমাধান সম্ভবপর। তিনি এ কথাও বলেছেন যে, বাঙালী জাতিকে সর্বপ্রকার সাহায্য করা বিশ্ববাসীর নৈতিক দায়িত্ব। এদিকে, ফ্রান্সের বিশিষ্ট লেখক, রাজনীতিক ও প্রাক্তন সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী মঁসিয়ে আঁদ্রে মালেরো বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে হানাদার দস্যুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার ইচ্ছা প্রকাশ করে দেশ-বিদেশের বহু তরুণ তার কাছে চিঠি লিখেছে। এই খবর পরিবেশনকারী একটি পত্রিকার ভাষায় ‘আজ বাংলার মুক্তিসংগ্রামে কার আগে প্রাণ, কে করিবে দান, তারি লাগি কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে। বলাবাহুল্য, উল্লেখিত সবকটি খবরই বাঙালী জাতির জন্য শুভ সংবাদ। কারণ, এতে একদিকে যেমন বাঙালী জাতির মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়ে গেছে যে দুনিয়ার মানুষ জল্লাদ ইয়াহিয়ার কথা বিশ্বাস করেনি। বরং পৃথিবীর বিবেকবান মানুষের কাছে অস্তহীন ঘৃণা আর ধিক্কার ছাড়া তার আশা করবার আর কিছুই নেই। দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়- বাংলাদেশকে নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা বাংলাদেশের বন্ধুদের সমন্বয়ে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি তৈরি করবেন যার সদরদফতর হবে লন্ডনে। মি. জয়প্রকাশ নারায়ণ, যিনি গতকালের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, তাকে কমিটির গঠন চূড়ান্ত করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মি. ডোনালড চেসওয়ার্থ, সম্মেলনের ইংরেজ প্রতিনিধিদের একজন, যাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে কমিটি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক কাজগুলো করার জন্য। এই কমিটি বাংলাদেশ সাহায্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখবে, বাংলাদেশের উপর তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করবে এবং জাতীয় কমিটি ও জাতীয় সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয় করবে। আজকের সভায় আরও আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘে কিছু করার সম্ভাবনা নিয়ে এবং বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের স্বপক্ষে আন্তর্জাতিক রেড-ক্রসকে আহ্বান জানানো হয় বাংলাদেশে ত্রাণকাজ পরিচালনা এবং বিতরণের সরাসরি দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×