ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কপির চারা উৎপাদনে লাভবান কৃষকরা

প্রকাশিত: ০২:০১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কপির চারা উৎপাদনে লাভবান কৃষকরা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের একটি মেঠো পথের চারপাশে সবুজ রঙয়ের দৃশ্য। যেকোনো পথচারীর নজর ছুঁয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে বাণিজ্যিকভাবে কপি চারার আবাদ করছেন চাষিরা। বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন প্রতি মৌসুমে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। বর্তমানে চারার ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এখানকার উৎপাদিত কপির চারা প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। চারা উৎপাদনে অনেকেই নিজেদের ভাগ্য ঘুরিয়েছেন। ইতিমধ্যে অর্ধশত চাষি হয়েছেন লাখপতি। স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আষাঢ় মাস থেকে কার্তিক মাসের শেষ অবধি বাঁধাকপি ও ফুলকপির চারা উৎপাদন চলবে। এরই মধ্যেই চারা বিক্রি করা হয়। বেড তৈরি করে একই জমিতে তিন বার চারা উৎপাদন করতে পারেন চাষিরা। বর্তমানে বাজারে ফুলকপির ভালো মানের চারা (সনোবক্স) ১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা ৬০ পয়সা বিক্রি হচ্ছে। একটু দুর্বল চারা বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা পিস। আর বাঁধাকপির প্রতিটি চারা (গ্রিন-৬০) ৫০ পয়সা থেকে ৬৫ পয়সা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান চাষি আজিজুর রহমান। সরেজমিনে দেখা গেছে, আব্দুলপুর গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশ’ বিঘা জমিতে কপির চারা উৎপাদন করা হয়। বর্তমানে গ্রামটি কপি পল্লী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। চারা উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় আবাদকারীদের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে দেড়শ’ চাষি চারা উৎপাদন করছেন। নিজস্ব জমি না থাকলেও জমি লিজ নিয়ে ঝুঁকেছেন কয়েকজন। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, বীজ থেকে কপির চারা উৎপাদন অন্য এলাকার চাষিদের জন্য আদর্শ দৃষ্টান্ত হতে পারে। এখানকার চারার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। যে কারণে চাষিদের যে কোনো সমস্যার সমাধানে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হয়। কপির চারা উৎপাদন করে অনেক চাষি নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছেন। ভরা মৌসুমে নারী-পুরুষ মিলে জমিতে ব্যস্ত সময় পার করেন।
×