ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় শিশু কিশোর নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

প্রকাশিত: ১০:২০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 জাতীয় শিশু কিশোর নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘আমরা সবাই মঞ্চকুঁড়ি, নটনন্দনে ফুটবো’ স্লোগান নিয়ে শুক্রবার শুরু হয়েছে ১৪তম জাতীয় শিশু-কিশোর নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় নাট্যশালায় এ উৎসব উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় মন্ত্রী বলেন, শিশু-কিশোরদের সুন্দর আগামী নির্মাণের জন্যই সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। এ ধরনের উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুরা নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি আরও বেশি দায়বোধ অনুভব করবে। এর আগে বিকেলে মিলনায়তনের সামনের উন্মুক্ত লবিতে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী। একই সময়ে উন্মুক্ত মঞ্চে শিশুদের নিয়ে ছবি আঁকেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। শিশুরা গেয়ে শোনায় উৎসব সঙ্গীত। পরে মিলনায়তনের ভেতরে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, সারাদেশের সকল উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই অন্তত ১০০টি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। এসব সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অত্যাধুনিক মিলনায়তনের পাশাপাশি মহড়া কক্ষসহ সব রকম সুযোগ সুবিধা থাকবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার এ্যাসোসিয়েশনের যৌথভাবে আয়োজিত এ উৎসব চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। উৎসবে ৯৫টি শিশু নাট্যদল অংশ নিচ্ছে। নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি ৮টি ভেন্যুতে প্রতিদিন ৮৫টি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে ৪০০ শিশু-কিশোরকে ‘মঞ্চকুঁড়ি তনয় শিশু পদক’ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি পদক প্রদান করা হবে উৎসবে অংশ নেয়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিটি শিশুকে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মুস্তাফা মনোয়ার এবং গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ। মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, আমাদের শিশুরা যেন এখন বইয়ের ব্যাগ বইতে বইতে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে, এটা যেন না হয়। শিশুরা যেন মনের আনন্দে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। এজন্য সাংস্কৃতিক কর্মাকান্ডে যুক্ত হতে হবে। এই উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন করা হবে বলে জানান লিয়াকত আলী লাকী। এছাড়া নাটকের প্রদর্শনীর পাশাপাশি, সঙ্গীত, পুতুল নাচ, নৃত্যসহ নানা রকম সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকবে পুরো উৎসবজুড়ে। সারাদেশের দশ হাজারের মতো শিশু-কিশোরেরা অংশ নেবে উৎসবে।
×