ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরল বিএনপি

প্রকাশিত: ১১:১৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরল বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকায় সফররত ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়ার বিষয়টি ব্রিটিশ এমপিদের কাছে তুলে ধরেছেন। জানা যায়, বৈঠকে ব্রিটিশ এমপিদের কাছে বিএনপি নেতারা দেশে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করে এ জন্য তাদের সহযোগিতা কামনা করেন। মামলা নির্যাতন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মামলা জামিনযোগ্য হলেও তাঁকে জামিন দেয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়। বৈঠকে এ ছাড়াও বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা, মানবাধিকার পরিস্থিতি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে অংশ নেয়া তিন ব্রিটিশ এমপি হলেন- কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অ্যান মেইন, ভাইস প্রেসিডেন্ট পাউল স্কলি ও বব বল্যাক মেন। বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ এমপি, রুমিন ফারহানা এমপি, দলের নেতা তাবিথ আউয়াল প্রমুখ। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদু চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, মূলত দেশের প্রকৃত অবস্থাটা কী তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা বাস্তব অবস্থাটা তুলে ধরেছি। আলোচনায় অনেক ইস্যুর মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। তারা অনুধাবন করতে পারছে যে, বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় যেমন রাজনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, তেমনি দেশের গণতন্ত্রের সঙ্গেও জড়িত। খসরু বলেন, দেশে যে নির্বাচন হয়ে গেল এবং তা যে গ্রহণযোগ্য হয়নি দেশে-বিদেশে, এটার সমাধান কি হতে পারে, এটা থেকে কিভাবে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে। এছাড়া দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, দেশের অর্থনীতি, দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গা সমস্যার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
×