ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চারুনীড়মের যুগপূর্তি উৎসব উদ্যাপন

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চারুনীড়মের যুগপূর্তি উৎসব উদ্যাপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতীকী একটি বটগাছ দাঁড়িয়েছিল রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনের প্রবেশমুখে। বটগাছের মতো একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন নিয়ে একযুগ আগে যাত্রা করেছিল চারুনীড়ম। সেটি এখন ডালপালা ছড়িয়েছে সারাদেশে। চারুনীড়ম স্কুল অব এ্যাক্টিংয়ের যাত্রা শুরু ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। সংগঠনটির দীর্ঘ এই পথপরিক্রমার একযুগ পূর্ণ হয় বৃহস্পতিবার। সংগঠনটির যুগপূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা ও উপাধি প্রদান এবং আলোচনানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে এদিন সন্ধ্যায়। সংগঠনটির এবারের উৎসবের স্লোগান ‘দেশজুড়ে চারুনীড়ম বেঁচে থাকি হাজার বছর’। উৎসবে দেশের চার গুণীকে উপাধি প্রদান করা হয়। এতে নাট্যজন সারা জাকেরকে ‘নাট্যরতœ’, কবি নির্মলেন্দু গুনকে ‘কথা অমৃতজন’, ওস্তাদ আজাদ রহমানকে ‘গীতগায়েন’ ও নৃত্যজন মিনু হককে ‘নৃত্য লাবণ্যময়ী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সম্মাননা পুরস্কার ‘নাট্যরতœ’ প্রদান করা হয় নাট্যব্যক্তিত্ব আজাদ আবুল কালাম, আহমেদ ইকবাল হায়দার ও ত্রপা মজুমদারকে। ‘কথা অমৃতসমান’ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয় বাচিক শিল্পী ভাস্কর বন্দোপাধ্যায় ও গোলাম কিবরিয়াকে। ‘গীতগায়েন’ পুরস্কার পান সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও কবীর বকুল। ‘নৃত্যলাবণ্য’ পুরস্কার প্রদান করা হয় নৃত্যশিল্পী তামান্না রহমানকে। এছাড়া বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পায় ইউনিভার্সিটি অব ইনফর্মেশন টেকনোলজি এ্যান্ড সায়েন্স (ইউআইটিএস)। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অভিনেতা আবুল হায়াত, ম হামিদসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট জন। অনুষ্ঠানের শুরুতে আবৃত্তি করা হয় কবি আহমদ ছফার কবিতা ‘একটি প্রধান বটের কাছে প্রার্থনা’। এরপর সংগঠনের শিল্পীরা পরিবেশন করে গান ‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে’। এছাড়া দেশের ৬৪ জেলায় চারুনীড়ম ইনস্টিটিউট চালু ও সেখানকার প্রতিনিধিদের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী বছর ইনস্টিটিউটের আওতায় জেলাভিত্তিক নাটক, কবিতা ও গান রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। বিজয়ীদের দেয়া হবে পুরস্কার এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজের সুযোগ। অনুষ্ঠানে ছিল নাটিকা, গান ও বক্তৃতা। নিজেদের আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা জানান চারুনীড়ম ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান গাজী রাকায়েত। তিনি বলেন, উপজেলা থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংস্কৃতিচর্চাকে এগিয়ে নেয়া এবং প্রতিযোগিতাকে একটি একাডেমিক রূপ দেয়া। চারমাত্রার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল চারুনীড়ম। সংস্কৃতির চারটি মাত্রা হচ্ছে মাতৃভাষা, মুক্তিযুদ্ধ, বটমূল ও চলচ্চিত্র চর্চা। গত একযুগে ৪৪টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ দিয়েছে চারুনীড়ম স্কুল অব এ্যাক্টিং।
×