ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ১১:১০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঝলক

ভাল চাষী হতে হয়! চীনের রাজধানী বেজিংয়ের চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য তিন বছরের স্নাতক ডিগ্রী পেতে ভাল চাষী হওয়ার শর্ত দিয়েছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের দু’বছরই মাঠে চাষাবাদের কাজ করতে হয়। আপাত দৃষ্টিতে বিস্ময়কর মনে হলেও বাস্তবে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে বিষয়টি। এর ফলে চীনের শস্য উৎপাদন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম এই প্রকল্প চালু করেন হেবেই প্রদেশের বাইঝাইয়ে। তখন থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পের ফলে হেক্টর প্রতি গম উৎপাদন পাঁচ হাজার ৬৭০ কিলোগ্রামের থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭ হাজার ২৭০ কিলোগ্রাম হয়েছে। আর ভুট্টা উৎপাদন ৬ হাজার ৪৩৫ কিলোগ্রাম থেকে বেড়ে হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৯ হাজার ১০৫ কিলোগ্রাম। শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্য বইয়ে আটকে না রেখে বরং হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত করার জন্যই এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই সাফল্যে চাষীরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। প্রথম যখন চাষীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা চাষীরা তা ভালভাবে মানতে পারেননি। তাদের মনে হয়েছিল, এতে কাজের ক্ষতি হবে। চাষেরও ক্ষতি হবে। তবে ফল হয়েছে তার বিপরীত। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পড়াশোনা কাজে লাগিয়ে প্রথমে জমির মাটি পরীক্ষা করে নেন। মাটির প্রকৃতি অনুযায়ী, কোন ধরনের বীজ বপন করা উচিত তা প্রথমে চাষীদের জানান তারা। সে অনুযায়ী কোন জমিতে কি শস্য চাষ হবে তার একটা তালিকা বানান। এর আগে চাষীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ করতেন ঠিকই, তাতে অনেক গলদ থেকে যেত। কোন সময়ে কোন বীজ কোন জমিতে লাগানো তা জানতেনই না চাষীরা। -দ্য ডেইলি স্টার ড্রোন বাঁচিয়ে দিল... অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে এক সার্ফার সমুদ্রে সাঁতার কাটছিলেন। সে সময় তাকে হাঙ্গরের কবল থেকে বাঁচিয়ে দিল একটি ড্রোন। সমুদ্রের ধারেই ড্রোন ওড়াচ্ছিলেন ক্রিস্টোফার জয়েস নামে এক ব্যক্তি। তিনি চেষ্টা করছিলেন হাঙ্গরের কিছু ছবি ও ভিডিও করার। সেই ড্রোনে ক্যামেরায় ধরা পড়ে একটি হাঙ্গর। তিনি দেখতে পান, হাঙ্গরটি কোন একটি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই ‘লক্ষ্য বস্তু’ হলো এক সাঁতারু। যিনি ওই সময় তার সার্ফ বোর্ড নিয়ে শান্ত জলে ভাসছিলেন। আর হাঙ্গরটি এগিয়ে যাচ্ছিল তারই দিকে। সৈকত থেকে ড্রোনে পুরো বিষয়টি দেখতে পান ক্রিস্টোফার। সেজন্য তিনি ড্রোনে লাগানো লাউড স্পীকারে ‘হাঙ্গর-হাঙ্গর, দ্রুত সমুদ্র থেকে উঠে আসুন বলে চিৎকার করতে থাকেন। চুপি চুপি নিজের দিকে এগিয়ে আসতে থাকা হাঙ্গরটিকে প্রথমে দেখতে পাননি সাঁতারু। তবে সতর্কবার্তা শুনতে পেয়ে দিক পাল্টে সাঁতার কাটতে শুরু করেন। হাঙ্গরটি আর তার দিকে এগোতে পারেনি। দিক বদল করে সমুদ্রের গভীরে চলে যায়। -নিউজ উইক
×