ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুকে ভিডিও ক্লিপ-বর্তমান বিনোদনে নতুন মাত্রা

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ফেসবুকে ভিডিও ক্লিপ-বর্তমান বিনোদনে নতুন মাত্রা

গৌতম পাণ্ডে ॥ ফেসবুক পেজে সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওর ক্যাপশনে দেখা যায় ‘গার্লফ্রেন্ডকে থাপ্পড় মারার জ্বালাটা কী হতে পারে দেখুন?’, ‘মুরগি চোর ধরা খেয়ে কী বলে দেখুন’, ‘কী মেয়েরে বাবা! পুলিশ নিয়ে বয়ফ্রেন্ডের বাড়িতে হাজির!’, ‘পাশের বাসার ভাবি যখন বী-মভ হয়!’, ‘আবাসিক হোটেল’, ‘গুলশানে যেভাবে ছেলে ভাড়া করে মেয়েরা’ ইত্যাদি। পুরনো নাটক, সিনেমা বা গানের ভিডিওর তিন-চার মিনিটের চুম্বক অংশ ফেসবুক পেজে দিয়ে দর্শক আকৃষ্টের জন্য এসব ক্যাপশন দেয়া হচ্ছে। দেশী নাটক বা চলচ্চিত্র থেকে কেটে নেয়া ফেসবুকে এমন চটুল শিরোনামের ভিডিওর সংখ্যা প্রায় ৬০ ভাগ। বাকি ৪০ ভাগে রয়েছে কমেডি ও সামাজিক নানা ঘটনার চিত্র। রয়েছে মিউজিক ভিডিওর চমক অংশও। দর্শক হাতের মুঠোয় অতি সহজে চটুল ক্যাপশনে আকৃষ্ট হয়ে উপভোগ করছে তিন থেকে পাঁচ মিনিটের এসব ভিডিও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে বাংলাদেশীদের আয়ের সুযোগ উন্মোচিত গত বছরের শেষের দিকে। এতে শর্তসাপেক্ষে মানসম্মত ভিডিও পোস্ট করে অর্থ আয় করছে ব্যবহারকারী ও সৃজনশীল নির্মাতারা। তবে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নয়, কেবল পেজ থেকে এ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ফেসবুক পেজ থেকে আয়ের যোগ্য হতে হলে ন্যূনতম ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। পেজে বিগত ৬০ দিনে ন্যূনতম তিন মিনিটের এমন একটি ভিডিও থাকতে হবে, যা কমপক্ষে ৩০ হাজার ভিউ হয়েছে এবং প্রত্যেকে অন্তত এক মিনিট সময় নিয়ে ভিডিওটি দেখেছেন। এসব শর্ত পূরণ হলেই কেবল ভিডিওটিতে বিজ্ঞাপন বসিয়ে আয় করা যায়। এর আগে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ইউটিউবে ডুবে ছিল সবাই, এখনও আছে। নাচ, গান, নাটক আর সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা খুঁজে পেয়েছে তাদের হারানো ধন। এক কথায় ইউটিউব ঘিরে দেশের মৃতপ্রায় গান-নাটক-চলচ্চিত্র শিল্প ফের দম পেয়েছে। ইউটিউব চ্যানেল ঘিরে পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলো জেগে উঠেছে, গড়ে উঠেছে অসংখ্য নতুন প্রতিষ্ঠান, লগ্নি হয়েছে শত শত কোটি টাকা। অন্যদিকে শ্রোতা-দর্শকও হাতের মুঠোয় বসে ভালই উপভোগ করছিলেন ইউটিউবভিত্তিক বিনোদন শিল্প। সেই এখনও ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে সম্পতি ইউটিউবের সঙ্গে যুক্ত হলো বিশ্বের প্রধান সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকের ‘ভিডিও অন ওয়াচ’ নামের নতুন অপশন। যার দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে অন্তর্জাল দুনিয়ায়। ফেসবুকের এই ‘ভিডিও ক্লিপ’ জোয়ারে গা ভাসাচ্ছেন দেশের সিংহভাগ শিল্পী-প্রযোজক-নির্মাতা দর্শক। দর্শকরা বিষয়টিকে দেখছেন বিনোদনের বাড়তি মাত্রা হিসেবে। অন্যদিকে কনটেন্ট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নতুন একটি মাধ্যম। তাদের ভাষ্য, ইউটিউব ছিল মৃত ইন্ডাস্ট্রির জন্য লাইফ সাপোর্টের মতো। আর ফেসবুক হলো স্বাভাবিক জীবনে ফেরার একটি রাস্তা। এখন দেখার বিষয় সেটির সদ্ব্যবহার আমরা কে কীভাবে করতে পারি। ভাইরাল হচ্ছে এসব ভিডিও ক্লিপও। তবে এসবের ভিড়েও নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’ নাটকের একটি আবেগী ক্লিপ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এটি প্রকাশ হয় সিডি চয়েসের পেজে। এটি ছিল ফেসবুক ভিডিও অপশনের প্রথম দিককার ক্লিপ। আবেগের জায়গা থেকে সরে এসে এখন বেশিরভাগ কনটেন্ট প্রোভাইডাররা ছুটছে সস্তা জনপ্রিয়তা প্রাপ্তি আর সহজে টাকা আয়ের পথে। নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বড় ছেলে’ নাটকের একটা অংশ যখন সবদিকে ছড়িয়ে যায়, সে সময় মনে হয়েছে একটা দৃশ্য বা একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছেড়ে দিলে অডিয়েন্স ওটা দেখে এবং মূল বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখন দেখছি প্রোডাকশন হাউসগুলোতেও এটা হচ্ছে। প্রথমত এটাকে আমি মনে করি মূল কনটেন্টের (নাটক বা সিনেমা) প্রমোশন অপশন হিসেবে। পজিটিভ যে কোন প্রমোশনই ভাল। খুব সুন্দর একটা ক্লিপ তুলে এনে দর্শকদের মধ্যে কাজটি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করাই এর মূল কাজ। কিন্তু এটার নামে যদি বাজে ক্যাপশন দিয়ে ক্লিপ প্রকাশ করা হয় অথবা একটা ভাল কাজের ছোট্ট একটি অংশ তুলে দিয়ে ভিন্ন বার্তা দেয়ার চেষ্টা হয়, তাহলে তো বিষয়টি মাঠে মারা যাওয়ার অবস্থা। এর দায় তখন নির্মাতার ওপরে এসে পড়ে। অথচ এসব কাজের বেশিরভাগই হয় প্রযোজকদের পক্ষ থেকে। তিনি আরও বলেন, যেমন আমার ‘বড় ছেলে’ নাটকের একটি অংশ ফেসবুকে প্রকাশের পর সেটি ভাইরাল হয়। যার মাধ্যমে আমাদের মূল নাটকটিতেও দর্শক সমাগম বাড়ে। এটা আমার নিজের চোখে দেখা। আমি আশা করব ফেসবুকের এই ভিডিও অপশনটাকে আমরা যেন পজিটিভলি কাজে লাগাই। সবচেয়ে বড় কথা এই ছোট ছোট সুন্দর সুন্দর ক্লিপ দিয়ে যদি টাকা পাওয়া যায়, তাহলে তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্যই ভাল। ফলে এটাকে সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে উল্টোপাল্টা ক্যাপশন দিয়ে নষ্ট করা ঠিক হবে না। কষ্টের বিষয়, সেটাই বেশি হচ্ছে এখন। যারা ক্যাপশনে এমন করে তাদের বলেছি আপনারা এভাবে যদি করেন তাহলে আমার সঙ্গে কাজ করবেন না। এতে সাধারণ মানুষ ভাবে কন্টেন্টকে সবকিছু পরিচালকই এটা করেছে। এটা আমি কোনভাবেই সাপোর্ট করি না। ফেসবুকের ‘ভিডিও অন ওয়াচ’ নামে নতুন অপশন সম্পর্কে কণ্ঠশিল্পী ও প্রযোজক ধ্রুব গুহ বলেন, আমাদের মিউজিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির ইনকাম অব ফিন্যানসিয়াল পজিশন এখনও সাউন্ড নয়। আর্থিকভাবে এখনও সুস্থ নয়। সবাই কিন্তু সার্ভাইভ করার চেষ্টায়ই আছে। ইউটিউব একটা মাধ্যম ছিল, এখনও আছে। এটা মোটেও সাফিসিয়েন্ট না। যে পয়সা খরচ করে ইউটিউবে কন্টেন্ট দেয়া হয়, সেটা একেবারেই সাফিসিয়েন্ট না। কারণ প্লাটফর্ম তো অনেক আছে। স্টিমিং প্লাটফর্ম, বিভিন্ন এ্যাপস, ইউটিউব আছে। যদিও আমরা বলি যে ইউটিউব একটা প্রধান মাধ্যম, সেখানে তো প্রধান ফিটব্যাকটাও পেতে হবে। সেই ফিটব্যাকটা কিন্তু সেভাবে মোটেও আসছে না। সে কারণে যখনই কোন দরজা উন্মুক্ত হচ্ছে তখন সবাই চেষ্টা করছে সেভাবে কিছু করার। ঠিক তদ্রুপ ফেসবুক পেজে মনিটাইজেশনও সেভাবে তিন মিনিট অথবা পাঁচ মিনিটের বেশি কোন ভিডিও দিলে হয়ত কিছু রেভিনিউ আসবে। যাদের কন্টেন্ট আছে তারা সেইভাবে ট্রাই করছে। একমুখী ইউটিউব দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি চলতে পারে না। যার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হচ্ছে বহুমুখী যে পথ আছে সেগুলোকে ইউটিলাইজ করা। এখন এটা ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে। এটা কি আমরা সদ্ব্যাবহার করতে পারছি নাকি পারছি না। এই ভিডিও ক্লিপগুলোর মধ্যে যদি স্বকীয়তা থাকে, বাংলাদেশের সংস্কৃতির মধ্যে যায় সেভাবে আমাদের যাওয়া উচিত। ভাইরাল করতে গিয়ে যেন অন্য কিছু না হয়। নেগেটিভ খুঁজতে গেলে অনেক কিছুই খোঁজা যায়। আমাদের পজিটিভের দিকে তাকানো উচিত। নেগেটিভ ছিল আছে, থাকবে। সেগুলোকে আমাদের ড্রপ করে দিয়ে পজিটিভের দিকে এগোতে হবে। এটা অবশ্যই ভাল দিক, যদিও সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর মতো ফেসবুকের এই মনিটাইজেশন। তবে যখন কোন দ্বার উন্মুক্ত হয় সেগুলোকে আমাদের ব্যবহার করতে হবে আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থে। এতে এরসঙ্গে জড়িত সবাই বেনিফিটেড হবে। এটা শুরু হয়েছে নিশ্চয়ই একটা ভালর দিক। তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানও নিয়মিত এই অপশনে ভিডিও প্রকাশ হয়। তবে সেগুলো মোটেও চটুল কিছু নয়। এই অপশনটি সবার জন্যই মঙ্গল। তবে সেটির সদ্ব্যবহারটা খুব জরুরী। বাড়তি হিটের জন্য, টাকার লোভে আমরা যেন কুরুচিপূর্ণ কিছু না করি, সে দিকটায় দেখা দরকার। কারণ, ফেসবুক তো এখন প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজারভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ভিডিও ক্লিপে এখনও সেভাবে আর্নিং আসেনি। এখনও ট্রায়াল বেসিসে আছে। আমরা গান আপলোড দিই না। নাটকের পিস বা প্রমোশনের জন্য বিভিন্ন নাটকের পিস বা নাটকের প্রমোশনাল এগুলো দিয়ে থাকি। তাও যাতে ইউটিউবে নাটকের ভিউটা বাড়ে, মানুষের আংশিক দেখে ভাল লাগলে নাটকটা হয়ত ইউটিউবে পুরোটা দেখল। এটা এখনও ভাল আর্নিং মোটেই আসেনি। যেটা আসে খুবই যত সামান্য। এটা টেস্ট বেসিসে আছে। এটা ভালর দিকে যাচ্ছে নাকি অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মাজহারুল ইসলাম বলেন, অবশ্যই ভালর দিকে যাচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন দিক যদি উন্মোচন হয়, এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক ভাল দিক উন্মোচন হবে। এখন হয়ত আর্নিং মুডে নেই কিন্তু আস্তে আস্তে ভাল আর্নিং মুডে আসবে। এটা ইউটিউব থেকে খুবই রেসটেকটেড আরকি, খুবই সেনসেটিভ। কারণ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই অনেক ক্লেম-টেøম খেয়ে মনিটাইজেশন বন্ধ আছে। এ জন্য আর্নিং পাচ্ছি না। আবার ফেসবুক কাউকে হয়ত সাসপেন্ড করে দিচ্ছে। মনে করেন একটা ভিডিও যদি অন্য কারও আপলোড থাকে সেটা ইললিগ্যাল ভাবে থাকল লিগেল কনটেন হয়ে থাকলেও যদি আপলোড দেন তাহলে অটোমেটিক্যালি ওখান থেকে ক্লেম এসে পেজ থেকে আপনার মনিটাইজটা বন্ধ হয়ে যায়। এটা ফেসবুকের সোসাইটি। এমআইবি মহাসচিব ও সিএমভির কর্ণধার এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু মিডিয়ার অগ্রগতিতে এই নতুন ট্রেন্ড কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনও ওভাবে চালু হয়নি। আস্তে আস্তে বাড়ছে। এখনই একদম রানে আসেনি। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই একটা আশার সঞ্চার করে। আমাদের কাস্টিংটা যদি এভাবে উঠে আসে তাহলে আমাদের জন্য ভাল। ফেসবুকে যদি এর জন্য টাকা আসে তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক ভাল। কিভাবে টাকা আসে সেই রুলস- রেগুলেশনটা এখনও সেভাবে ঠিক হয়নি। আমি নিজেও ক্লিয়ার নই। আশা করা যায় আমাদের মিডিয়ার জন্য এটা আলাদা একটি দিক উন্মোচন হবে। এর ক্যাপশন আমাদের অভিনেতা, পরিচালক বা শিল্পীর জন্য কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এটা নতুন শুরু হয়েছে, পরে আমরা একটা নিয়ন্ত্রণের ভেতর নিয়ে আসব যে এর বাইরে ক্যাপশন দিতে পারবে না বা অন্য কিছু। এখন তো জিনিসটা কুয়াশার ভেতর আছে। অবশ্যই এ ট্রেন্ড একটা ভাল দিক কারণ আমাদের যত রেভিনিউ বাড়বে আমাদের কন্টেন্টের রিচ তত বাড়বে। আমরা আরও ভাল ভাল কনটেন্ট বানাতে পারব। ইন্ডিয়ার একটা দশ কোটি কন্টেন্টের সঙ্গে আমাদের দশ লাখ টাকার কন্টেন্টের প্রতিযোগিতা করতে হয়। তিন থেকে চার মিনিট ব্যাপ্তি কালীন এই ভিডিও ক্লিপগুলো গত পাঁচ ছয় মাস ধরে নিয়মিত প্রকাশ করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া, সিএমভি, সিডি চয়েস, ঈগল মিউজিক, ধ্রুব মিউজিক স্টেশন, গানচিল, অনুপম রেকর্ডিং, লেজার ভিশন, জি সিরিজসহ দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গড়ে প্রতিদিন প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে পনেরোটি করে ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করছে, যার বেশিরভাগই পুরনো দিনের সিনেমা ও নতুন নাটক থেকে নেয়া। রয়েছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সংবাদ ক্লিপও। তবে ফেসবুকের এই ভিডিও ক্লিপ ট্রেন্ড নিয়ে বিরক্ত দেশের অনেক তারকা শিল্পী। বিশেষ করে এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে ফেসবুকে ভালই ভাইরাল হয়েছে শাকিব খান ও জয়া আহসানের সিনেমা ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২’র একটি ক্লিপ। যে ক্লিপটি শাকিব খান ও জয়া আহসানের রাজকীয় ক্যারিয়ারের জন্য বড় একটি দাগ হয়ে ধরা দিল। এমন আরও অনেক তারকারই ভিডিও ক্লিপ রয়েছে, যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর। তবে ফেসবুকের এই ভিডিও ট্রেন্ড নিয়ে বেশ পজিটিভ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, এই ট্রেন্ডটা সারাদুনিয়ায় চলছে এখন। বিশ্বের নামকরা যেসব সিরিজ হয়, সেগুলোর ক্লিপ আমরা সোস্যাল মিডিয়াতেই পাই, আগ্রহ নিয়ে দেখি। কারণ, সিরিজটি তো দেখতে পারছি না। এটা আসলে পজিটিভ। শুধু প্রচারের হিসেব করলেও বিষয়টা খুবই ভাল। যেমন ধরুন, হয়ত আমার একটা নাটক অনেকেই দেখেনি। সেই নাটকের একটি ক্লিপ ফেসবুকে প্রকাশ হলো। সেটি দেখে পুরো নাটকটি দেখার আগ্রহ পেল। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটাকে আমি পজিটিভলি দেখি। কিন্তু নেগেটিভ তো একটু আছেই। সেটা থাকবেই। তবে ফেসবুকে প্রকাশিত এই পুরনো নাটক-সিনেমার ভিডিও ক্লিপগুলো বিক্রি করে কেমন আয় হচ্ছে মাসে অথবা রোজ, সে বিষয়ে কেউই স্পষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেননি কিংবা দিতে চাননি। প্রায় প্রত্যেকেই বলেছেন, ইনভেস্ট অনুপাতে আয়ের পরিমাণ অনেক ভাল। কারণ, পুরনো নাটক-সিনেমা টুকরো টুকরো করে প্রতিটি ক্লিপ আলাদা প্রকাশ করে যে অর্থ মিলবে, সেই ভাবনাই তো ভাবেনি কখনও কেউ।
×