ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে হাতুরি পেটা করে সিএইচসিপির হাত পা ভাংলেন সন্ত্রাসীরা

প্রকাশিত: ০৯:০০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 আমতলীতে হাতুরি পেটা করে সিএইচসিপির  হাত পা ভাংলেন সন্ত্রাসীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার ইসলামপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল কেয়ার প্রোভাইডার মো: আবুল কালাম আজাদ (৩০) কে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতুরি পেটা করে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। আবুল কালাম আজাদ ছোট নীলগঞ্জ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কাঞ্চন আলী মৃধার ছেলে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইসলাম পুর কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইটার মো: আবুল কালাম আজাদ ক্লিনিকে বসে অফিসিয়াল কাজ করছিল। এসয় কালাম নামে এক লোক এসে আকস্মিক তার জামার কলার ধরে টানা হেচরা শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ক্লিনিকের বাহিরে আনার চেষ্টা করেন। এসময় আজাদ কালামকে ধাক্কা মেরে ক্লিনিকের বাহিরে ফেলে দিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। এর পর কালাম ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ক্লিনিকের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে হেলথ কেয়ার প্রোভাইটার আবুল কালাম আজাদকে বেধরক হাতুরি পেটা করে ডান পা এবং ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। এসময় তার ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আবুল কালাম আজাদের হাত ও পায়ে প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত সিএইচসিপি আবুল কালাম আজান জানান, আমার ছোট চাচা জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। সে সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা সংঘর্ষে আহত হন। এঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে আমার উপর হামলা করে এবং হাতুরি পেটা করে হা পা ভেঙ্গে দেয়। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কে বা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করলে তা বেড়িয়ে আসবে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল বাশার জানান, ঘটনা শুনেছি। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
×