ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের লেখাপড়া চলছে

প্রকাশিত: ০১:৪১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কলাপাড়ায় ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের লেখাপড়া চলছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ কলাপাড়ায় ৭৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ১১ হাজার ৩১৫ শিশু শিক্ষার্থী আতঙ্ক নিয়ে লেখাপড়া করছে। এর মধ্যে ২৩টি বিদ্যালয় ভবন অধিক ঝুঁকিপুর্ণ। আবার ১৮টি স্কুল ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও এসব ভবন ধসে প্রাণহানির শঙ্কা নিয়ে কোমলমতি শিশুরা লেখাপড়া করছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতোমধ্যে ১৮টি স্কুল ভবনকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছেন। এসব ভবনের ছাদের পলেস্তরা ধসে পড়ছে। বীমের পলেস্তরার একই দশা। ভবনের মূল পিলারের পলেস্তরা উঠে ইট পর্যন্ত খসে পড়ছে। কোনটা ছাদ ফেলে টিনশেড করে ব্যবহার করা হলেও চারপাশের দেয়াল পর্যন্ত ধসে পড়ছে। কক্ষ সঙ্কটের কারণে এসব জরাজীর্ণ ভবনে শিশুরা ক্লাশ করতে বাধ্য হচ্ছে। কলাপাড়া শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৭৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৭৬টি বিদ্যালয় ভবনকে ঝূঁকিপূর্ন এবং ২৩টি বিদ্যালয়কে অধিক ঝূঁকিপূর্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। এর মধ্যে আবার ১৮টি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবনগুলো মেরামত কিংবা নতুন ভবন করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, পরিত্যাক্ত স্কুল ভবনগুলো হচ্ছে, পেয়ারপুর আমেনা খাতুন, দক্ষিণ খাপড়াভাঙ্গা, দক্ষিণ কমরপুর, দাসের হাওলা, নিজশিবাড়িয়া, মাছুয়াখালী, পূর্ব টিয়াখালী, দক্ষিণ চাকামইয়া গুচ্ছগ্রাম, পশ্চিম টিয়াখালী, নেওয়াপাড়া, কাঠালপাড়া, নীলগঞ্জ, নিজকাটা আরকে, নবীপুর, ফতেহপুর, আদমপুর, পশ্চিম কুমিরমারা ও গামইরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনগুলো পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অধিকাংশ পরিত্যাক্ত স্কুল ভবন এলাকার অভিভাবকের দাবি এসব ভবনগুলো খুবই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ফি-বছর মেরামতসহ রক্ষণাবেক্ষণের যে টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় তা যথাযথভাবে ব্যয় হয় না। ফলে ভগ্নদশা ক্রমশ বাড়ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মো. আবুল বাশার জানান, ঝুঁকিপুর্ণ সকল বিদ্যালয় ভবনগুলো যথাযথভাবে মেরামত কিংবা নতুন ভবন করা হবে।
×