ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই রোহিঙ্গাদের

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই রোহিঙ্গাদের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে আসা ১১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার আঙুলের ছাপ ও তথ্য নিয়ে রোহিঙ্গা সার্ভার প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন কেউ চাইলেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম। বিভিন্ন মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকের ভোটার হওয়ার বা এনআইডি পাওয়ার যে তথ্য এসেছে, তারা চেষ্টা করেছে। কিন্তু ভোটার হতে পারেনি। নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বিশেষ কার্যক্রম শেষ করে সার্ভারে তথ্য আপলোড করা হয়। এরপর ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচিং করে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার যোগ্য, কেবল তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, ১১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক আমাদের কাছে আসে। আমার রোহিঙ্গা সার্ভার প্রস্তুত করেছি। এখন যাদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে, তাদের আঙুলের ছাপ ও তথ্য প্রথমেই রোহিঙ্গা সার্ভারে ম্যাচ করে দেখা হচ্ছে। কারো তথ্য এই সার্ভারে ম্যাচ করলে মূল সার্ভারে আর যাওয়াই হবে না। এছাড়া খসড়া প্রকাশের আগে আমরা ম্যচিং করবো। কাজেই তারা ভোটার হতে পারবে না। লাকী বেগম নামের একজন স্মার্টকার্ড আনতে গেলে, মূল সার্ভার থেকে ধরা পড়ে তার এনআইডি সঠিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদে চিহ্নিত হয়েছে- তাকে বৈধ এনআইডি দেওয়া হয়নি। তাই তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। তারপর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি। তাদের মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়েছে কিনা এসব দেখি। এতে ৪৬ জন ব্যক্তির ডাটা অসম্পূর্ণ পাওয়া যায়। কারো ফিঙ্গারপ্রিন্ট ঠিক মত নেই, কারো ফরম সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নি। এটা আমরাই চিহ্নিত করেছি। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ৩২টি এলাকাকে আমরা বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ ফরম পূরণ করা হয় এবং সার্ভারে তথ্য অন্তর্ভূক্তির জন্য বিশেষ কমিটির সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে। উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে এসব বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনপ্রাথমিক তদন্তে এই অপচেষ্টার সঙ্গে আমরা কক্সবাজারে দু’জন দালালের সম্পৃক্ততা পাই। তাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া আমাদের একজন পিয়নের সঙ্গে জড়িত আছে। ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, ৪৬ জনের ভোটার হওয়ার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এটা অপচেষ্টা। এখনো ভোটার হতে পারেনি। চেষ্টাতো করছে। কিন্তু সফল হতে পারবে না। ৪৬ জনের কেউ এনআইডি পায়নি। দক্ষতার সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে। অপচেষ্টায় কেউই সফল হতে পারবে না। আমরা স্বচ্ছ ভোটার তালিকার জন্য বদ্ধপরিকর। বিদেশি বা রোহিঙ্গা যাতে না হতে পারে, সেজন্য বদ্ধ পরিকর। আমরা অত্যন্ত সচেতন। কোনো রোহিঙ্গা বা বিদেশিকে অন্তর্ভুক্ত হতে দেবো না। যে স্ট্যাটাসের হোক, যে সংগঠনের হোক অপচেষ্টাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামের ডবলমুরি উপজেলা নির্বাচন অফিসের একজন পিয়ন, জয়নাল আবেদিন; রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির অপচেষ্টায় জড়িত ছিলো প্রাথমিক তদন্তে এসেছে। তার বিরুদ্ধে আমার ফৌজদারি মামলা দেওয়া এবং বিভাগীয় মামলার ব্যবস্থা নিচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
×