ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটুয়াখালীতে ডিসির নির্দেশে গনপূর্তের জায়গা দখল

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পটুয়াখালীতে ডিসির নির্দেশে গনপূর্তের জায়গা দখল

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীতে গনপূর্ত বিভাগের সম্পত্তি দখল করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ফাস ট্র্যাক নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পটুয়াখালী গনপূর্ত বিভাগ কয়েকবার ওই নির্মান কাজ বন্ধ করে দিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের বরাদ দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ১৬ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা বাংক‘র মানেজারকে কাজ বন্ধের জন্য গনপূর্ত বিভাগ থেকে নোটিশ দেয়া হলেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মানের জন্য শহরের সৌন্দর্য্য বিনষ্ট হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের একটি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা ব্যাংক‘র জন্য ডিসি প্রাঙ্গনে এটিএম বুথ/ফাস ট্যাক স্থাপনের অনুমতি দেয়। কিন্তু প্রতিকৃত পক্ষে যে স্থানে পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা ব্যাংক‘র এটিএম বুথ/ফাস ট্র্যাক স্থাপন করছেন সেটা মুলত পটুয়াখালী গনপূর্ত বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি। এমনটাই দাবী করে পটুয়াখালী গনপূর্ত বিভাগ কয়েকবারে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। পটুয়াখালী গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশিদ এ প্রসঙ্গে অভিযোগ করে বলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের বরাদ দিয়ে পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে জমিতে এটিএম বুথ/ফাস ট্র্যাক নির্মান করছে সেটা ডিসির নয় আমাদের সম্পত্তি। আমি কাজ বন্ধ করার জন্য কয়েকবার বলা সত্ত্বেও তারা শোনেনি। তাই লিখিত ভাবে সোমবার তাদের নোটিশ প্রদান করেছি। নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন ডিসির বরাদ দিয়ে যে স্থানে নির্মান কাজ চলছে সেটা শহরের সৌন্দার্য্য বিনষ্ট করার পায়তারা ছাড়া কিছুই নয়। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা ব্যাংক‘র ম্যানেজার মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, “আমাদের জেলা প্রশাসক মহোদয় যে জায়গা নির্ধারন করে দিয়েছে, আমরা সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছি। গনপূর্ত বিভাগের মৌখিক নোটিশে কাজ বন্ধ করে দিলেও ডিসি কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা কি করবো। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আমার কাছে পটুয়াখালী গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসছিল। আমি তাকে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলতে বলছি। জেলা মোঃ প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমি এ বিষয়ে গনপূর্ত বিভাগের সাথে কথা বলবো।
×