ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনে বিলীন

প্রকাশিত: ০৩:১৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গাইবান্ধায় ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনে বিলীন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা জেলায় সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলায় বিগত দু’দফা বন্যায় নদী ভাঙনে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে এসমস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোথাও খোলা আকাশের নিচে গাছতলা, টিনের ছাপরা ঘর তুলে অথবা পরিত্যক্ত কোন ভবনে এ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া চালানো হচ্ছে। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো না থাকায় সংগত কারণেই ওইসব এলাকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে। তদুপরি দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা নানা শিশু শ্রমেও জড়িয়ে পড়ছে। উল্লেখ্য, এরমধ্যে ফুলছড়ি উপজেলাতে ৫টি, সুন্দরগঞ্জে ২টি এবং সদর উপজেলায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভাঙনে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- ফুলছড়ির হারুডাঙ্গা, ধলিপাটাধোয়া, কেতকিরহাট, জামিরা ও আঙ্গারীদহ, সদর উপজেলার চিথুলিয়ার চর, চিথুলিয়া দিগর নতুনপাড়া, বাজে চিথুলিয়া, মৌলভীর চর ও কেবলাগঞ্জ এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উজানবুড়াইল ও পূর্ব লাল চামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরমধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন কেতকির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে দ্বিতল ভবন ছিল। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর সে ভবনের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এখন টিনের ছাপরায় নিচে মাটিতে বসে এখন লেখাপড়া করছে। ফলে লেখাপড়ার পরিবেশ না পাওয়ায় ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কমে গেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায় ১২টি স্কুল ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
×