ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাকিল আহমেদ

এ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 এ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে

কম বয়সীদের মধ্যেও এই রোগের প্রসার চোখে পরার মতো বেড়েছে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ৩০-৫০ বছর বয়সীদের বেশিরভাগই ক্রনিক এ্যাসিডিটি সমস্যার শিকার। এদের ক্ষেত্রে গরমকাল বা ঝাল মসলা দেওয়া খাবার খাওয়ার কারণেই যে একমাত্র এমন রোগ দেখা দিচ্ছে, তা নয় কিন্তু! তাহলে আজকের ইয়ং জেনারেশনের সিংহভাগই বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তাদের পছন্দ এখন শুধু ফ্রাইড খাবার। এ্যাসিডিটির পিছনে মূল যে কারণটি দায়ী থাকে তা হলো খালি পেট। আসলে দিনের বেশিরভাগ সময়ই যদি পেট খালি থাকে, তাহলে স্টমাক-এ উপস্থিত এ্যাসিডিটিগুলো খারাপ প্রভাব ফেলে। যে কারণে এ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স, বদহজমসহ নানাবিধ ডাইজেস্টিভ প্রবলেম দেখা দেয়। এমন রোগের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী? রাস্তা তো আছেই! আপনার রান্না ঘরে মজুত কিছু খাবারকে এক্ষেত্রে কাজে লাগান। তুলসি পাতা একেবারে ঠিক শুনেছেন। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে তুলসি পাতা দারুণ কাজে আসে। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ে এ্যাসিডিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাই তো নিমেষে আরাম পেতে ৩-৫টি তুলসি পাতা জলে ভিজিয়ে, সেই জল ফুটিয়ে খেয়ে ফেলুন। আদা গ্যাস-অম্বল হলেই এক পেয়ালা আদা চা খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন গ্যাস-অম্বল একেবারে কমে যাবে। আসলে আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান এ্যাসিডিটি-এর সমস্যা নিমেষে কমিয়ে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডাবের পানি গরমের সময় শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি স্টমাক এ্যাসিডের ক্ষরণ স্বাভাবিক করতেও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে উপস্থিতি অতিরিক্ত এ্যাসিডকে বের করে দিতেও এই প্রাকৃতিক পানীয়টি সাহায্য করে। বাটার মিল্ক শরীরকে ঠা-া রাখার পাশাপাশি এই পানীয়টি স্টমাক এ্যাসিডের কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে এ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স বা গলা জ্বালা করার মতো সমস্যা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে এমন ধরনের অসুবিধা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস বাটার মিল্ক খেয়ে নেবেন। দেখবেন নিমেষে সমস্যা কমে যাবে। বাদাম আপনি কি প্রায়শই এ্যাসিডিটি সমস্যায় ভুগে থাকেন? তাহলে খাবার পরপরই ২-৩টি বাদাম খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন এমন ধরনের রোগে আর আক্রান্ত হবেন না। এ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে খনিজ থাকার কারণে ত্বককে সুন্দর রাখার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। শুধু তাই নয়, এ্যালোভেরায় উপস্থিত এ্যাসিড, স্টমাকে উৎপন্ন এ্যাসিডের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। খাবার সোডা মাঝে মধ্যেই কি এ্যাসিডিটির সমস্যায় একেবারে কাবু হয়ে পড়েন? তাহলে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে। এক গ্লাস জলে ১ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে সেই জল পান করুন। রসুন এ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে রসুনের কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাকের এ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে গ্যাস-অম্বল সংক্রান্ত নানা লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।
×