ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ বাংলাদেশ আফগানিস্তান লড়াই

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আজ বাংলাদেশ আফগানিস্তান লড়াই

মিথুন আশরাফ ॥ ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজে আজ মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ম্যাচটি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে। এই ম্যাচেও বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এরপর আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বিকেলের বৃষ্টি খেলায় প্রভাব ফেলতে পারে। ম্যাচ যখন শুরু হবে তখন স্বাভাবিকভাবেই উইকেট ভেজা থাকবে। আউটফিল্ড ভেজা থাকবে। আর বিষয়টি মাথায় নিয়েই খেলতে হবে। জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচেও বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাতে ম্যাচ ১৮ ওভার ধরা হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জেতে বাংলাদেশই। আফিফ হোসেন ধ্রুবর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ। এবার কি তাহলে আফগানদের হারানোর পালা? সদ্যসমাপ্ত একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানের কাছে হারের স্মৃতি এখনও তরতাজা! ক্রিকেটাররা এখনও তা ভুলেননি। তবে হারতে থাকা বাংলাদেশ দল যে জয়ের ধারায় ফিরেছে, তা মানসিকতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সেই প্রভাব নিয়ে আফগানিস্তানকেও হারিয়ে সিরিজে টানা দুই জয় তুলে নিতে পারে বাংলাদেশ। আজ ঢাকায় লীগ পর্বের শেষ ম্যাচটি হবে। প্রথম ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সিরিজে শুভ সূচনা করেছে। আজ যদি জিতে যায়, তাহলে ঢাকা পর্ব খুব ভালভাবেই শেষ করবে বাংলাদেশ। এরপর চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হবে। ওই পর্বেও দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একটি জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে, অপরটি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। আজ আফগানদের হারিয়ে চট্টগ্রাম পর্বে যে কোন একটি ম্যাচ জিতলেই সিরিজের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। তা না হলেও ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকবে। আফগান দলটি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার টি২০ ফর্মেটে খেলা হবে। যে ফর্মেটে আফগানরা অনেক বেশি শক্তিশালী দল। সেই তুলনায় টি২০তে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়েই আছে। এই চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের নিতে হবে। কঠিন পথ সহজ করে তুলতে হবে। ম্যাচও জিততে হবে। না হলে আফগানদের কাছে টেস্ট হারের পর টি২০তেও যদি হারে বাংলাদেশ, সমালোচনায় ভালভাবেই বিদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের সামনে আসলে মূল চ্যালেঞ্জ আফগানিস্তানের স্পিনাররা। রশীদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবীরাই বড় হুমকি। সেই হুমকি এবার ব্যাটসম্যানদের দূর করে দিতে হবে, তা না হলে বিপদ আবার আসবে। স্পিনে আফগানিস্তান অনেক শক্তিশালী। বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা যদি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলে তাহলে পেস কিংবা ব্যাটিং বিভাগে আফগানদের ওপরেই থাকার কথা। এই দুই বিভাগের সঙ্গে যদি স্পিনটা একটু সামাল দেয়া যায়, তাহলে আফগানিস্তানকে হারানো সম্ভব। বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে আসলে ব্যাটিংয়ে টপঅর্ডারে। এই পজিশনে যারা ব্যাটিং করেন-সৌম্য, লিটন, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহরা ব্যর্থ হচ্ছেন। সেই ব্যর্থতা দলের ওপরও প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ বিপত্তিতে পড়ছে। জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতেই যেমন ১৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। দলের সেরা সব ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ হন। দল হারের আশঙ্কা পড়ে যায়। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত হাল না ধরলে আর আফিফ হোসেন ধ্রুব সাহসী ইনিংস উপহার না দিলে হারই হয়ত হতো নিয়তি! শেষ পর্যন্ত অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর আফিফ ও মোসাদ্দেকের গড়া ৮২ রানের জুটিতে জয় আসে। সেই জয় স্বস্তি হয়েও ধরা দেয়। টানা ৬ ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশ জয়ের চেহারা দেখতে পায়। এই একটি জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দিয়েছে। সঙ্গে মানসিকতাও হয়েছে চাঙ্গা। এখন আফগানিস্তানকেও হারিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশ। আফগানদের কাছে সর্বশেষ তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হলেও এবার দেশের মাটিতে আফগানদের হারানোর পালা। এর আগে ’১৪ সালে দেশের মাটিতে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই দলেরই সিরিজে এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। দুই দলই জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে খেলেছে। বাংলাদেশ আজ জিতলে সিরিজে সেরা দল হয়ে থাকবে। আফগানিস্তানকে আজ হারিয়ে সেই পথ তৈরি হলেই ভাল।
×