ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিত্যপণ্যের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিত্যপণ্যের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিত্যপণ্যের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজ রসুন ও ভোজ্যতেলের দাম। বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে তবে বিক্রি হচ্ছে আগের মতো বেশি দামে। এছাড়া চাল, ডাল, আটা ও চিনির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ভরা মৌসুমে দাম কমছে না ইলিশের। দেশীয় জাতের মাছের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ও মিরপুর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮-৫৫, রসুন ১৪০-১৬০, আদা ১৩০-১৮০, ভোজ্যতেল প্রতিলিটার ৭৫-৮২, চিনি ৫৫-৬০, জিরা ৩০০-৪৫০, ধনে ১০০-১৫০, মোটা চাল ৩৪-৪০, সরু চাল ৪৭-৫৫, আটা ২৮-৩৬, মসুর ডাল ৫৫-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। ৫০-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। তবে শীতের আগাম সবজি শিম, ফুলকপি ও বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। মুদি পণ্যের বিক্রেতারা বলছে, চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বেড়ে আর তেমন কমছে না। এ প্রসঙ্গে কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা জাহিদ জনকণ্ঠকে বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে এই তিনটি পণ্যের দাম চড়া। এখন একটু কমতির দিকে রয়েছে। মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ ও রসুন উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, পেঁয়াজ ও রসুনের বড় অংশ আমদানি হয়ে থাকে। পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম বেশি হওয়ার কারণে খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এদিকে, ভোক্তারা বলছে, গত কয়েক মাস ধরে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেশি। ৫০ টাকার নিচে পেঁয়াজ নেই। আদা কিনতে লাগে ১৮০ টাকা। এত দাম ভোক্তাদের জন্য কষ্টকর। শুক্রবার টাউন হল মার্কেটে বাজার করছিলেন সরকারী কর্মকর্তা রিপন তালুকদার। তিনি জানান, বাজারে মোটামুটি স্বস্তি রয়েছে। তবে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমছে না। এই তিনটি পণ্যের দাম কমা উচিত। তিনি বলেন, সবজির দাম চড়া। অথচ বাজারভর্তি সবজি দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, কৃষকরা ঠকলেও সবজির আড়তদার ও ফড়িয়ারা কয়েকগুন বেশি মুনাফা করছে। এক্ষেত্রে সরকারী বাজার মনিটরিং টিমের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সরকারী সংস্থা টিসিবি’র তথ্যমতে, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে বাজারে তার কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। অথচ দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। শুধু তাই নয়, আর মাত্র এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠা শুরু হবে। এ অবস্থায় কেন এখন দাম চড়া এ প্রশ্নের উত্তর নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এবার কোরবানি ঈদের আগে থেকে দাম বাড়ানোর একটি অপচেষ্টা গ্রহণ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ওই সময় এক লাফে ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকা হয়ে যায়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সংস্থা টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিলে সেই সময় দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা থেকে সরে আসে ব্যবসায়ীরা। এদিকে, বাজারে শীতের আগাম সবজি উঠলেও দাম চড়া। একমাত্র আলু ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। সবজির পাশাপাশি দেশীয় জাতের সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি রুই ৩৫০-৪৫০, সরপুঁটি ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৮০০-১২শ’ টাকা কেজি, পাবদা ৫৫০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরু ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
×