ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রী ধর্ষণের মামলা

প্রকাশিত: ১০:২২, ৭ জুলাই ২০১৯

 গলাচিপায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রী ধর্ষণের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ধর্ষিত ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী (৪০) উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরআগস্তি গ্রামের মৃত মকবুল ফরাজীর ছেলে। মোহাম্মদ ফরাজী একই ইউনিয়নের উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের নিজ বাড়িতে ‘হাদিউল উম্মা মহিলা মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করে নিজেই এটি পরিচালনা ও শিক্ষকতা করে আসছে। আবাসিক এ মাদ্রাসায় কয়েকজন মেয়ে শিশুকে রেখে পড়ানো হয়। ধর্ষিত শিশুটি (১১) ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তার বড় বোন (১৪) একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার দিন ২৯ জুন সকাল ৬টার দিকে শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী শিশুটিকে বসতঘরের বারান্দায় ডেকে নেয় এবং ধর্ষণ করে। শিশুটি তার বড় বোনকে নিয়ে ওইদিন দুপুরে বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, শনিবার ভোরে এ ঘটনায় ধর্ষিত শিশুর বাবা মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজীকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। তাৎক্ষণিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজীর ছোট ভাই ইব্রাহিম ফরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ইব্রাহিম ফরাজীও একই এলাকায় কেবল শিশু ছেলেদের নিয়ে অপর একটি আবাসিক মাদ্রাসা পরিচালনা করে। ধর্ষক মোহাম্মদ ফরাজীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণের এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাপক অপচেষ্টা করেছে। ধর্ষিত শিশুর পরিবারকে মামলা দায়েরে বাধা দেয়া হয়েছে। আপোস রফার চেষ্টা করা হয়েছে। যে কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব ঘটেছে।
×