ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে ॥ ড. আতিউর

প্রকাশিত: ১০:২২, ৭ জুলাই ২০১৯

 জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে ॥  ড. আতিউর

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ আগামী দিনের উন্নয়নে প্রকৃতি ও সমাজকে রক্ষা করার যে অঙ্গীকার, সেটি রক্ষা করতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বাস্তবায়ন। আমাদের সেটি বাস্তবায়নের দিকে যেতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু তরুণদের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না। এক্ষেত্রে যারা বিদ্যান রয়েছেন, তারাসহ সবাইকেই সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। শনিবার সকালে শাহবাগ গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের শওকত উসমান মিলনায়তনে ‘বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি ও সংরক্ষণে তরুণ সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এর আয়োজন করে গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট। গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সেন্টার ফর এ্যাডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. এ আতিক রহমান, সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঙ্গীতশিল্পী প্রিয়াঙ্কা গোপ, জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহি। আতিউর রহমান বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আমরা প্রত্যেকেই প্রকৃতি ও প্রজন্মকে রক্ষা করার ঐকমত্যে এসেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সবাইকে বাঁচাতে হবে। আমাদের সবুজায়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কাজ হলো মনের সবুজায়ন। মনের সবুজায়নের জন্য তরুণ প্রজন্মকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। আতিউর রহমান বলেন, আমরা শুধুই অর্থনৈতিক মানুষ নই, আমরা সামাজিক মানুষ। সমাজের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা চলি। এখানে প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামাজিক জীব হিসেবে আমাদের প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজে জলবায়ু ক্লাব তৈরি করতে হবে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকলের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা যেতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের বাংলাদেশ। কাজেই তরুণদের চিন্তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। তরুণদের সম্পৃক্ত করতে পারলেই আমাদের দ্রুত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
×