ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যাথুসের শতকেই সান্ত¡না লঙ্কানদের

প্রকাশিত: ১০:২১, ৭ জুলাই ২০১৯

ম্যাথুসের শতকেই সান্ত¡না লঙ্কানদের

রুমেল খান ॥ আগের ১৫৮ ওয়ানডে ম্যাচের মোকাবেলায় ৯০টিতেই জয়। যদিও বিশ্বকাপের ৮ বারের মোকাবেলায় প্রতিপক্ষই জিতেছে তাদের চেয়ে একটি ম্যাচে বেশি (৪ বার)। তবে বিশ্বকাপে সর্বশেষ মোকাবেলায় (২০১১) আবার প্রতিপক্ষকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল দলটি। সাম্প্রতিক সময়ে সর্বশেষ ১০ মোকাবেলায় ৮টিতে জয় তাদেরই। কাজেই আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৪৪ নম্বর ম্যাচে একবারের চাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যে দু’বারের শিরোপাধারী ভারতই যে ফেবারিট থাকবে, এমনটাই ধরে নেবেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। তাদের এমন ধারণাকে মোটামুটি সত্যি প্রতিপন্ন করেই শনিবার লিডসে খেলতে নেমে লঙ্কান সিংহদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৪ রানের বেশি করতে দেয়নি টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ১২ ওভার শেষ হবার আগেই ৫৫ রানেই তারা খুইয়ে ফেলে ৪ উইকেট। টপ অর্ডারের প্রত্যেক উইলোবাজই পর্যবসিত হন ব্যাটিং ব্যর্থতায়। শুরু থেকেই স্বস্তিতে ছিল না শ্রীলঙ্কা। একে একে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে (১০), কুসল পেরেরা (১৮), কুসল মেন্ডিস (৩) এবং আভিষ্কা ফার্নান্দো (২০)। উইকেটগুলো ভাগাভাগি করে নেন জাসপ্রিত বুমরা, হারদিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা। এ অবস্থায় চরম বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্কট থেকে দলকে ওপরে টেনে তোলেন এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। পঞ্চম উইকেটে লাহিরু থিরিমান্নেকে নিয়ে ১২৪ রানের জুটি গড়েন লঙ্কান সাবেক অধিনায়ক। ৫৩ করে থিরিমান্নে ফেরার পর (দলের সংগ্রহ তখন ৩৭.৫ ওভারে ৫/১৭৯ রান, থিরিমান্নেকে আউট করেন কুলদীপ যাদব) আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন ম্যাথুজ, ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে। ভারতীয় বোলারদের আক্রমণ সামাল দিয়ে ঠান্ডা মাথায় চমৎকার এক শতক হাঁকান ম্যাথুস। ওয়ানডেতে এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। মজার ব্যাপার এ সেঞ্চুরির সবগুলোর প্রতিপক্ষ একই দল ভারত! এর আগের দুটি সেঞ্চুরিই ছিল ভারতের মাটিতে এবং দুটিই অপরাজিত (১১১* মোহালি, ১৩/১২/২০১৭ এবং ১৩৯* রাঁচি, ১৬/১১/২০১৪)। এবারের তৃতীয় শতকটি এলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এবং এই সেঞ্চুরি আগের দুটির মতোই নট আউট নয়। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৪ রানের জুটির পর ইনিংসের ৪৯তম ওভারে এসে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ম্যাথুস আউট হয়ে যান ১২৮ বলে ১১৩ রান করে (৪-১০টি, ৬-২টি)। তাকে সাজঘরে ফেরান বুমরা। ম্যাথুস ধরা পড়েন শর্মার বলে। ম্যাথুসের এ সেঞ্চুরিতে ভর করেই ৭ উইকেটে ২৬৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লঙ্কানরা। শেষদিকে যে মারদাঙ্গা ব্যাটিংয়ের দরকার ছিল সে চাহিদা মেটাতে পারেননি ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২৯*), থিসারা পেরেরা (২) এবং ইসুরু উদানা (১*)। ভারতের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন জাসপ্রিত বুমরা। ১০ ওভারে মাত্র ৩৭ রান খরচা করে ৩টি উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। এছাড়া ভুবনেশ্বর কুমার, হারদিক পা-িয়া, রবীন্দ্র জাদেজা এবং কুলদীপ যাদব প্রত্যেতেই লাভ করেন ১টি করে উইকেট। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও এই ম্যাচটিকে নিজেদের সম্মান রক্ষার ম্যাচ হিসেবেই দেখছে লঙ্কানরা। কেননা শেষটা ভাল করেই তারা ফিরতে চান দেশে। একই সঙ্গে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট বাড়িয়ে এবারের আসরের শীর্ষ দল হতে চাইবে ভারত। তাই ছাড় দেবে না কেউই। আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মাও চাইবেন লঙ্কানদের বিরুদ্ধেই এবারের বিশ্বকাপ আসরের রেকর্ড ও পঞ্চম সেঞ্চুরিটি তুলে নিতে। তা করতে পারলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪টি সেঞ্চুরির রেকর্ডকে পেছনে ফেলতে পারবেন তিনি।
×