মাঝে মাঝে আমার নষ্ট হতে খুব ইচ্ছে করে।
নষ্টদের বাড়বাড়ান্ত আমাকে লোভাতুর নয়, অসহায় করে।
মনে হয়, সব কিছু সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে নষ্ট হয়ে যাই।
সাগর যেখানে পলিথিনে ভরে যাচ্ছে সেখানে আমার সামান্য নষ্ট আর কতই পলুটেড করবে।
নষ্টের চলনই আলাদা, কী আলাদা তার দম্ভ, ঘিরে থাকে তাকে সবাই-
বিপরীতে ভালো মানে বাউল, একতারা- দোতারা
ছনের ঘরে পরিপাটি লেপাপোছা, আঙিনায় ছোট ফুল গাছে একটা দোলনচাঁপা।
না, পণ করেছি, এবার নষ্টই হয়ে যাব-
মা তুমি স্বর্গে বসে যতই নাড়ি ধরে টানো এ নাড়ি এবার আমি ছিড়বই।
নষ্টের বিলাসী হাতের ছোয়ায় আমি এবার চোখ মুদবো, ছেড়ে দেবো শরীর।
কী ভেবেছো তুমি মা, তোমার ছেলেকে সবাই পায়ে পায়ে বল খেলবে-
যে পা শূকরের, কুকুরের না হয় গাধার- সেই পায়ে পায়ে বল হবে তোমার ছেলে!
তার থেকে নিজের আগুনে না হোক ক্ষোভের আগুনে আমি পুড়িয়ে ফেলবো
বুকের ভেতর রেখে যাওয়া তোমার যত সুর ও গান -
সেখানে এখন ভূতেরা করবে নৃত্য, না তারা শিবের ডাকিনী যোগনী নয়।
এরা রক্ত খেয়ে খেয়ে ঢোল হওয়া ভূত।
মা তুমি বরং স্বর্গে মুখ ফিরিয়ে বসো, দেখো না পৃথিবীতে তোমার নষ্ট
ছেলের উদ্যত, গর্বিত নৃত্য। অবাক হয়ো না গর্বের সংজ্ঞা বদলে গেছে।
গর্ব এখন নষ্টের ক্ষমতার সঙ্গে, বুকের ভেতর সুর বাজে যার সে তো অক্ষমের ভ্রমদ্বার।
ক্ষমা চেয়ে তোমাকে খাটো করব না মা। তুমি কেবল মুখ ফিরয়ে থাকো। আমাকে
নির্লজভাবে, উদ্মাম দু’ বাহু তুলে নেচে নেচে নষ্ট হতে দাও।
নষ্টদের বাড়বাড়ান্তে আর কতকাল আমাকে অসহায় রাখবি মা।