ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার সম্মানে আমরাও ৩০ টাকায় ইফতার করলাম ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১১:১৯, ২৯ মে ২০১৯

খালেদা জিয়ার সম্মানে আমরাও ৩০ টাকায়  ইফতার করলাম ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার ইফতারের জন্য বরাদ্দ ৩০ টাকা তাই তার সম্মানে আমরাও ৩০ টাকায় ইফতার করলাম। মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে ৩০ টাকায় ইফতারের কথা বলা হলেও বাস্তবে এ টাকায় ইফতার হয়েছে কি না প্রশ্ন রয়েছে। কারণ ইফতারের মেন্যুতে ছিল পেঁয়াজু, বেগুনি, খেজুর, মুড়ি, জিলাপি, ছোলা ও এক বোতল মিনারেল ওয়াটার। চড়া দ্রব্যমূল্যের বাজারে কি করে এসব ইফতার সামগ্রী। ৩০ টাকায় পাওয়া সম্ভব এমন প্রশ্ন রয়েই গেছে। ইফতারের পূর্বে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও মুক্তি জন্য মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নেসারুল হক। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নিতে হয়েছে। গণতন্ত্রের মাতা, যিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন তাকে একটি সাজানো মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আজকে বন্দী অবস্থায় তিনি শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের ছোট একটি কক্ষে ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষ করছেন। তার ইফতারের জন্য সরকারে বরাদ্দ মাত্র ৩০ টাকা। সে জন্য আমরা আজকের ইফতারে ৩০ টাকা বরাদ্দ করেছি। তাই সকল অতিথিবৃন্দ আপনাদের কষ্ট হলেও দেশনেত্রীর সম্মানে এ কষ্ট মেনে নিবেন। ফখরুল বলেন, আজকের এই ইফতার আমরা নিবেদন করতে চাই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সারাদেশের নেতাকর্মীদের যারা কারাগারে আবদ্ধ আছেন এবং নিখোঁজদের পরিবার ও আমাদের সকল নির্যাতিত নেতৃবৃন্দের জন্য। ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নাজমুল হক নান্নু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু সাঈদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, আমসা আমিন, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, হামীদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক তাসনিম আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোঃ সেলিম উদ্দীন, দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ডেমোক্র্যাটিক লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দীন মনির, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা ইছাহাক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, মুসলিম লীগের নেতা জুলফিকার বুলবুল প্রমুখ। ভুল না শোধরানো পর্যন্ত আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না- ড. মঈন খান ॥ আত্মসমালোচনার মাধ্যমে ভুল না শোধরানো পর্যন্ত আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘এ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ারস’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ মহসীন আলীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
×