ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামায়াতের মদদ

বিশ্ব এজতেমা টঙ্গী থেকে পাকিস্তানে স্থানান্তরের চক্রান্ত

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৯ জুলাই ২০১৮

বিশ্ব এজতেমা টঙ্গী থেকে পাকিস্তানে স্থানান্তরের চক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াত মদদপুষ্ট কতিপয় হেফাজত ও ২০ দলীয় উগ্রবাদী নেতাদের তৎপরতায় বড় ধরনের সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন তাবলীগ জামাত। সাধারণ মুসল্লিদের ব্যাপক আপত্তি এমনকি তাবলীগের শূরা সদস্যদের অংশগ্রহণ ছাড়াই পরামর্শ সভার নামে রাজধানীতে রীতিমতো রাজনৈতিক সমাবেশ করেছে হেফাজতপন্থী কওমি আলেমরা। হেফাজত আমির শফীকে হাজির করে সমাবেশ থেকে মাওলানা সা‘দ কান্ধলভী বিরোধী অবস্থানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যাকে জামায়াত-হেফাজতের রাজনৈতিক সমাবেশ উল্লেখ করেছেন মুসল্লিরা। বলছেন, এটা বিশ্ব এজতেমাকে পাকিস্তানে নেয়ার চক্রান্তের অংশ। সা‘দ বিরোধী অবস্থান থাকলে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ বিদেশীরা এখানে আসবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অরাজনৈতিক তাবলীগ জামাতকে এভাবে রাজনীতিকরণ পছন্দ করছেন না তাবলীগের শূরা সদস্যসহ সাথিরা। কাকরাইল মসজিদের কয়েকজন মুকিম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, তাবলীগের সব কার্যক্রম প্রচলিত রীতি ও রাজনীতির বাইরে ছিল। হেফাজতের আমিরকে এনে যেভাবে মোহম্মদপুরে তাবলীগ জামাতের নামে সমাবেশ করা হয়েছে তা তাবলীগের জন্য ভয়াবহ ফল ডেকে আনবে। সাধারণ মুসল্লি ও তাবলীগের শূরা সদস্যরা ইতোমধ্যেই হেফাজত আমিরের নেতৃত্বে ডাকা সমাবেশের সকল সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বলেছেন, তাবলীগে হেফাজত-জামায়াতের রাজনীতি চলবে না। তাবলীগ জামাতের মূলকেন্দ্র দিল্লী নিজামুদ্দীন মার্কাজকে উপেক্ষা করে তাবলীগের নেতৃত্ব পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত সফল হতে দেয়া হবে না। তাবলীগের সব কার্যক্রম প্রচলিত রীতি ও রাজনীতির বাইরে ছিল। এ ধারাকে আজ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শনিবার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে যে পরামর্শ সভা (ওয়াজাহাতি জোড়) নামে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে যোগ দেননি তাবলীগের কোন শূরা সদস্য। মূলত তাবলীগের ভারতীয় মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী তাবলীগ ও হেফাজতপন্থী কয়েক কওমি আলেম এ সমাবেশের আয়োজন করেন। সভা থেকে আলেমদের পক্ষে ৬টি সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়া হয়। আবার এসব সিদ্ধান্ত যে এ পরামর্শ সভার আগেই নেয়া হয়েছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় সমাবেশে বিতরণ করা লিফলেটে সিদ্ধান্তগুলো মুদ্রিত দেখেই। সিদ্ধান্তগুলো পড়ে শোনান মাওলানা মাহফুজুল হক। যার মধ্যে আছে-পূর্ববর্তী তিন হযরতি (হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রহ.), হযরত মাওলানা ইউসুফ (রহ.) ও হযরত মাওলানা এনামুল হাসানের (রহ.) উসুল ও কর্মপন্থা থেকে সরে যাওয়ার কারণে বর্তমানে মাওলানা মুহাম্মদ সা‘দ সাহেবকে অনুসরণ করা সম্পূর্ণভাবে বর্জনীয় ও নিষিদ্ধ। তার কোনরূপ সিদ্ধান্ত-ফায়সালা বা নির্দেশ কাকরাইল তথা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা যাবে না। বাংলাদেশের কোন জামাত বা ব্যক্তিকে নেযামুদ্দিনে পাঠানো বা যাওয়া মুনাসিব হবে না। অনুরূপভাবে নেযামুদ্দিন থেকে আসা কোন জামাতকে বাংলাদেশের কোন জেলায়/থানায় ইউনিয়নে কাজ করার সুযোগ দেয়া যাবে না। কাকরাইল, টঙ্গী ময়দান এবং জেলা মারকাযসহ সব মারকায এই নীতিতেই পরিচালিত হবে। এভাবে তাবলীগ জামায়াতের পরামর্শ সভা ডেকে সাদ বিরোধী সমাবেশ ও নিজেদের ইচ্ছেমতো ঘোষণায় কর্মসূচীর মধ্যেই অসন্তোষ ছড়িয়ে পরেছে। সমাবেশে আসা মাওলানা জুনায়েদ সিদ্দিক বলছিলেন, সারাদেশের প্রতিটি মুসল্লিই শুরু নয়, শান্তিপ্রিয় প্রতিটি মানুষ এদের তৎপরতায় উদ্বিগ্ন। এটা আলেম সমাজের পরামর্শ সভা নয়। হেফাজতের পাকিস্তানপন্থীদের সমাবেশ হয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে তাবলীগ সম্পর্কে ভয় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। জামায়াত-হেফাজতের রাজনৈতিক সমাবেশ উল্লেখ করে তিনি আরও বলছেন, এ তৎপরতা বিশ্ব ইজতেমাকে পাকিস্তানী সরিয়ে নেয়ার চক্রান্তের অংশ। সা‘দ বিরোধী অবস্থান থাকলে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ বিদেশীরা এখানে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এসব জেনেই ওরা সঙ্কট তৈরি করছে। তাদের কোন আল্টিমেটাম দেশের কোটি কোটি শান্তিপ্রিয় মানুষ মানবে না। তাবলীগ নিয়ে রাজনীতি চলবে না। জিম্মাদার সাথিরা বলছেন, কারও অধিকার হরণ করা আইনত দ-নীয় অপরাধ। হেফাজত বললেই তাদের কথায় তাবলীগ চলবে না। যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। হেফাজত নেতারা এখানে কেন আসছে। তারা কেন আমাদের ওপর জবরদস্তি করছে। তারা তাদের মতো চলুক। আমাদের তাবলীগ আমাদের মতো চলবে। হেফাজত ইসলামের ইজারা নেয়নি যে তাদের কথায় আমাদের চলতে হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশে কাকরাইল মারকাজে শূরা সদস্য রয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে দিল্লীর নেযামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মাওলানা মোজাম্মেল হক, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, খান সাহাবুদ্দিন নাসিম, মাওলানা মোশাররফ, ইউনুস শিকদার, শেখ নুর মোহাম্মদ। অন্যদিকে, মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন হেফাজতপন্থী কয়েকজন। আহমদ শফীর সমাবেশে তাবলীগের শূরা সদস্যদের কেউ উপস্থিত না হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানের তাবলীগ কর্মী ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তাবলীগের দ্বিতীয় সারির মুরব্বিরা। এর মধ্যে ছিলেন মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা নুর রহমান, মাওলানা আব্দুল বার, মাওলানা আবু জাফর, মাওলানা আব্দুর রহিম প্রমুখ। তাবলীগ জামাতের সঙ্কট নিরসনে পাঁচ কওমি আলেমকে পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করা হয় ২০১৭ সালের ১৬ নবেম্বর। এর মধ্যে রয়েছেন আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আশরাফ আলী, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীর মুহতামিম ও গুলশান সেন্ট্রাল (আজাদ) মসজিদের খতিব মাহমূদুল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল কুদ্দুছ, মারকাজুদ দাওয়াহ বাংলাদেশের আমীনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক। তবে এর মধ্যে মাহমূদুল হাসান ও ফরীদ উদ্দিন মাসউদ উপস্থিত ছিলেন না এ সমাবেশে। এ সমাবেশে হেফাজত আমির ছাড়াও উপস্থিত হওয়া হেফাজতপন্থী কওমি আলেমদের মধ্যে ছিলেন জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আশরাফ আলী, ঢাকা মহানগর হেফাজত সভাপতি জামিয়া বারিধারার মুহতামিম নূর হোসাইন কাসেমী, মারকাজুদ দাওয়ার আমিনুত তালিম মুফতি আবদুল মালেক, কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহাতামিম আজহার আলী আনোয়ার শাহ, ফরিদাবাদ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ও লালবাগ জামিয়ার মুহাদ্দিস মুফতি ফয়জুল্লাহ, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি এনামুল হক, বারিধারা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি ওবায়দুল্লাহ ফারুক, আরজাবাদ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, উত্তরা আল মানহাল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ আযহারী, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক, শাহ আহমদ শফী ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী প্রমুখ। মুসল্লিরা বলছেন, সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এভাবে ধর্মীয় ইস্যুতে মাঠ ঘোলা করাটা অবশ্যই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছুর ইঙ্গিত। তাবলীগ জামাত সব সময় রাজনীতির বাইরে ছিল, এখনও রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে। কাকরাইলের একজন মুরুব্বিরা বলেছেন, আমরা এক হয়ে কাজ করতে চাই। কিন্তু বিশ্ব এজতেমাকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়ার যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে তাতে আমাদের হতাশা বাড়ছে। পাকিস্তানীরা কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা হোক। এদিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইতোমধ্যেই মূলকেন্দ্র দিল্লী নিজামুদ্দীন মার্কাজকে উপেক্ষা করার বিষয়ে বলা হয়েছে এ অবস্থা হলে তারা এজতেমায় থাকবে না। পরিস্থিতের বিষয়ে গেল কিছুদিন আগেই তাবলীগের বাংলাদেশ শূরা ও সরকারকে শূরা কানাডা, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া চিঠি দিয়েছে। এসব চিঠিতে মাওলানা সাদকে যেন এজতেমার আমির ও ফয়সালের (সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী) পদ থেকে সরানো না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তাবলীগ জামাতের কানাডা শূরার সদস্য আবির রশিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা আছে, টঙ্গী এজতেমায় নিজামউদ্দিন মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদের অংশগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে আমরা জেনেছি। ‘দিল্লীর নিজামউদ্দিন মসজিদ থেকে শতবর্ষ আগে তাবলীগ জামাতের এই যাত্রা ও প্রসারের ক্ষেত্রে মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াসের (রহ.) অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও দোয়ার কথা বিশ্ববাসী জানে। জীবিত থাকতে প্রতিবছর এই মারকাজের উত্তরসূরি মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ (রহ.), মাওলানা ইনামুল হাসান (রহ.) মাওলানা জুবায়েরুল হাসান (রহ.) টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। এখন তাদের উত্তরসূরি হিসেবে আসছেন মাওলানা মোহাম্মদ সা‘দ। চিঠিতে আরও বলা হয়, টঙ্গীর এজতেমা কেবল লাখো মুসল্লির জমায়েতই নয়, এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবীণ নীতি-নির্ধারকদের মিলনমেলাও, যারা বিশ্বের আনাচে-কানাচে মানুষের শান্তি ও কল্যাণের স্বার্থে কাজ করেন। পুরো তাবলীগের ইতিহাসে দেখা যাচ্ছে, টঙ্গীসহ এ ধরনের এজতেমার দায়িত্বভার নিজামউদ্দিন মারকাজের উত্তরসূরিদের ওপরই থাকছে, যেটা ক’বছর ধরে অত্যন্ত সুচারুভাবে পালন করে আসছেন মাওলানা মোহাম্মদ সা‘দ। তারই ধারাবাহিকতায় কিছু লোক তার বিরোধিতা করলেও সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর মতো কানাডার শূরাও কেবল নিজামউদ্দিন মারকাজের উত্তরসূরি হিসেবে মাওলানা সাদকে আমির ও ফয়সাল হিসেবে গ্রহণ করবে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ শুরা যদি অতীতের রেওয়াজ ভেঙ্গে নিজামউদ্দিন মারকাজের উত্তরসূরিকে দায়িত্বভার থেকে সরিয়ে দেয়, তাহলে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে, আর সেটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বেই। এমন কিছু হলে টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমা চিরতরে বিলীন হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ২০১৮ সালকে বিশ্ববাসী মনে রাখবে।’ শুরা মালয়েশিয়ার চিঠি শূরা বাংলাদেশের পাশাপাশি পাঠানো হয়েছে সরকার ও উলামা কাউন্সিলের কাছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, নিজামউদ্দিন মারকাজের মাধ্যমেই বিশ্বে তাবলীগ জামায়াতের সৃষ্টি ও প্রসার। সে কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত টঙ্গী এজতেমায় তারই উত্তরসূরিকে আমির ও ফয়সালের দায়িত্ব দিতে হবে। যদি আয়োজকেরা অতীতের এই রেওয়াজ বজায় রাখতে ব্যর্থ হন, তবে বাংলাদেশের পরিবর্তে মালয়েশিয়ায় এ এজতেমা আয়োজনে প্রস্তুত শূরা মালয়েশিয়া। শূরা কানাডা ও শূরা ইন্দোনেশিয়ার দেয়া চিঠি শূরা বাংলাদেশ, সরকার ও উলামা কাউন্সিলকে ইন্দোনেশিয়া শুরার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এজতেমার দায়িত্বভার নিয়ে কিছু আলাপ ও জটিলতার বিষয়ে আমরা জেনেছি। আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, বরাবরের মতোই নিজামউদ্দিনের উত্তরসূরিদের নেতৃত্বে বিশ্ব এজতেমা পালন হওয়া উচিত। যদি অতীতের রেওয়াজ ভেঙ্গে এই দায়িত্বভারে পরিবর্তন আসে, তবে বিভ্রান্তি তৈরি হবে এবং পুরো মুসলিম বিশ্বের ঐক্য বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যেতে পারে। সেজন্য ইন্দোনেশিয়া শূরা কেবল মাওলানা সাদকেই টঙ্গী বিশ্ব এজতেমার ফয়সাল হিসেবে গ্রহণ করবে।
×