স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ যৌতুকের জন্য গ্রামপুলিশ স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে এক সন্তানের জননী গৃহবধূ টুম্পা বাড়ৈ। টানা চারদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টুম্পার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামের দরিদ্র অমল বাড়ৈর কন্যা টুম্পা বাড়ৈর সঙ্গে বাকাল গ্রামের সনাতন সরকারের পুত্র গ্রামপুলিশ সদস্য (চৌকিদার) সুজন সরকারের তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুজন তার স্ত্রী টুম্পাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। তাদের দাম্পত্য জীবনে অভিজিত নামের দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সুজনের অমানুসিক নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হয়েছে।
সর্বশেষ যৌতুকের দাবিকৃত দুই লাখ টাকার জন্য গত বুধবার টুম্পাকে তার স্বামী সুজন অমানুসিক নির্যাতন করে। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে ওইদিন রাতে টুম্পা ঘরে থাকা বিষপান করে। বাড়ির লোকজনে প্রথমে টুম্পাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে টানা চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শনিবার রাতে টুম্পা মারা যায়।