ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো আবাদ শুরু করেছেন দিনাজপুরের কৃষকরা

প্রকাশিত: ২০:৩০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো আবাদ শুরু করেছেন দিনাজপুরের কৃষকরা

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বন্যার ফলে আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছেন ‘দেশের শস্যভান্ডার’ খ্যাত দিনাজপুরের কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, সরকার ঘোষিত ধানের ন্যায্য মূল্য পান না তারা। এ ব্যাপারে সরকারী কোন পদক্ষেপ নেই দাবি করে কৃষকরা জানান, সরকার ঘোষিত ধানের ন্যায্য মূল্য পেলে লাভবান হতে পারবেন তারা। সরকারের দেয়া নির্ধারিত মূল্য কৃষকরা পায় না বিষয়টি স্বীকার করে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সকলকে বিষয়টির ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, এবারে যাতে করে ধানের উৎপাদনে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা মোতাবেক মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। গত আমন মৌসুমে প্রবল বন্যার ফলে লাভের মুখ দেখতে পারেনি দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকরা। তাই আমনের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছেন শস্য ভান্ডার খ্যাত এই অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বছর সরকার ধানের যে মূল্য ঘোষণা করে থাকে, প্রকৃতপক্ষ্যে তা পান না প্রান্তিক কৃষকরা। গত কয়েক বছরের চলমান এই ধারা অব্যাহত থাকলে, তারা যে স্বপ্ন নিয়ে চাষাবাদ করছেন, তাতে লোকসান গুনতে হবে। তাই ধানের সরকারী ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতের দাবি তাদের। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর দিনাজপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. মাহবুবুর রহমান জানান, চলতি বছরে দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর কৃষি অঞ্চলে ২ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ’ মে.টন চাল। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত বোরো আবাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ভাল। চাষাবাদের বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এবারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে, একটি ধানও যাতে করে ক্ষতি না হয়। সেই নির্দেশনা মোতাবেক কর্মকর্তারা কাজ করছেন। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগের মুখোমুখি না হলে ভালো ফলন হবে বলে জানান তিনি। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানান, সরকারী যে ক্রয়মূল্য সেটি যাতে কৃষক পায়, সে জন্য প্রতিবছরই প্রশাসন তৎপর থাকে। তবে গত বছরে কিছু অনিয়ম হয়েছে। কোন ক্রমেই কোন মধ্যসত্বভোগী ফায়দা লুটতে না পারে সে জন্য খাদ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবারে কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
×