ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ট্যাক্সি নামানোর সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটের কবলে আটকা!

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নতুন ট্যাক্সি নামানোর সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটের কবলে আটকা!

রাজন ভট্টাচার্য ॥ জনসংখ্যা অনুপাতে রাজধানীতে বর্তমানে ট্যাক্সিক্যাবের চাহিদা অন্তত ১০ হাজার। গণপরিবহন সঙ্কট সমাধানে অতি দ্রুত পাঁচ হাজার ট্যাক্সি রাস্তায় নামানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে কাগজে কলমে এই শহরে এখন টেক্সি চলছে মাত্র ৩৫০টি। তাও আবার দুটি প্রতিষ্ঠান এসব গাড়ি পরিচালনার দায়িত্বে। অথচ এখন দুই কোটির বেশি মানুষের বসবাস ঢাকায়। কিন্তু গণপরিবহন নামেমাত্র। পাঁচ বছরে পাঁচ হাজার ট্যাক্সি নামানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। ফলে নগরীতে যাত্রী দুর্ভোগ বাড়ছে দিন দিন। মধ্যবিত্তের প্রাইভেটকার হিসেবে পরিচিত ট্যাক্সি যেন এখন সোনার হরিণের মতো। ওঠা তো দূরে থাক, দেখা মেলাও ভার। এদিকে তমা ও ট্রাস্ট সার্ভিসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়কে আর গাড়ি না নামানোর কথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, নানামুখী জটিলতার কারণে ট্যাক্সি নামানো সম্ভব হচ্ছে না। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, সিন্ডিকেট তৎপরতার কারণে নতুন নতুন কোম্পানি ট্যাক্সি নামাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ঝুলে আছে ট্যাক্সি নামানোর সিদ্ধান্ত ॥ রাস্তায় পুরনো ট্যাক্সি নেই। মেয়াদ শেষ হওয়ায় মধ্যবিত্তের প্রাইভেটকার হিসেবে পরিচিত পুরনো টেক্সিগুলো তুলে দেয়া হয়েছে। কথা ছিল ২০১৩ সালের জুলাই মাসের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামে নামানো হচ্ছে ৫ হাজার নতুন টেক্সিক্যাব। সে প্রত্যাশাও পূরণ হয়নি। ঝুলে আছে সরকারের ট্যাক্সি নামানোর সিদ্ধান্ত। প্রায় দুই কোটি মানুষের এই শহরে মাত্র ৩৫০টি গাড়ি যা খুবই অপ্রতুল বলে মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া ইচ্ছা থাকলেও অনেকে ট্যাক্সি পান না। যেন সোনার হরিণ এই বাহনটি। তাছাড়া উচ্চমাত্রার ভাড়া নির্ধারণ করায় অনেকে পেলেও উঠতে সাহস পান না। রাজধানীর গণপরিবহন সঙ্কট সমাধান ও উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নতুন টেক্সি নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নতুন করে এ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের পর থেকেই। শেষ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৬০০ ট্যাক্সি নামাতে দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। এরপর ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল নতুন ট্যাক্সি সার্ভিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৪০০ ট্যাক্সি নামানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এরপর কথা ছিল নির্ধারিত দুটি কোম্পানি পর্যায়ক্রমে ঢাকা-চট্টগ্রামে গাড়ি নামাবে। নতুন ট্যাক্সি সার্ভিসের যাত্রা শুরুর আগে থেকেই ভাড়া নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। এসি ট্যাক্সিতে উঠলেই দুই কিলোমিটারের জন্য গুনতে হয় ৮৫ টাকা। প্রথম পর্যায়ে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা! প্রতি মিনিটের জন্য অপেক্ষমাণ বিল আট টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাড়ায় নির্ধারণ করা হয়েছে নতুন আমদানি করা এসব ট্যাক্সিতে। ১৮-২৬ লাখ টাকার মূল্যের এসব গাড়িতে মতিঝিল-আব্দুল্লাপুর ২২ কিলোমিটারের ভাড়া প্রায় এক হাজার টাকা! মীরপুর থেকে মতিঝিল ১৬ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ভাড়া গুনতে হচ্ছে প্রায় ৭০০ টাকা! বর্তমানে রাজধানীতে ১০ হাজারের বেশি ট্যাক্সির চাহিদা থাকার কথা জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক জনকণ্ঠকে বলেন, এখন ঢাকা ও চট্টগ্রামে চাহিদার তুলনায় খুবই কম ট্যাক্সি চলছে। ভাড়া বেশি হওয়ায় এসব পরিবহন মধ্যবিত্তের নাগালেই বাইরে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে রাজধানীতে নতুন ট্যাক্সি নামানো জরুরী। কারণ দিন দিন প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। এর লাগাম টেনে ধরতে হলে ট্যাক্সিক্যাবই একমাত্র বিকল্প হতে পারে। নতুন ট্যাক্সি নামানোর ক্ষেত্রে ভাড়া যেন মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে থাকে এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ভাড়া বেশি হওয়ায় তমা ও ট্রাস্টে ট্যাক্সিগুলোতে যাত্রী ওঠে না। চট্টগ্রামে নতুন ট্যাক্সিও রং পরিবর্তন করে এখন অন্যান্য কাজে লাগানো হচ্ছে। দুই প্রতিষ্ঠানের ‘না’ ॥ দুটি পৃথক প্রতিষ্ঠান এখন রাজধানীতে ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনা করছে। এর মধ্যে তমা সার্ভিসের ২৫০টি ও ট্রাস্টেও ১৫০টি গাড়ি মহানগরীতে চলাচল করছে। জানা গেছে, ভাড়া বেশি হওয়ায় যাত্রী কম হয় বিলাসবহুল এসব টেক্সিতে। এ কারণে অব্যাহত লোকসানের মুখে এ দুটি প্রতিষ্ঠান। এমন বাস্তবতায় যেসব গাড়ি ঢাকায় চলাচল করত এর প্রায় অর্ধেকও এখন সড়কে নেই। ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস প্রাথমিকভাবে টয়োটা ব্র্যান্ডের জাপানে নির্মিত ১ হাজার ৫০০ সিসির ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনা করছে। অপর বেসরকারী সংস্থা তমা গ্রুপ একই ব্র্যান্ডের টেক্সিক্যাব পরিচালনা করছে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রামে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন যাত্রীদের চাহিদা ও পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৬৫০টি ট্যাক্সিক্যাব নামানো হবে। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ এক হাজার ট্যাক্সি নামানোর। নতুন আরও ট্যাক্সি নামানো প্রসঙ্গে তমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভর্ঁূইয়া মানিক জনকণ্ঠকে বলেন, অব্যাহত লোকসানের মুখে নতুন ট্যাক্সিক্যাবগুলো বন্ধ হওয়ার পথে। চুক্তি থাকলেও নতুন করে ট্যাক্সিক্যাব নামানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ট্যাক্সি নামানো প্রক্রিয়াও বন্ধ। এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন দেশে এ্যায়ারপোর্টে ট্যাক্সি ঢুকতে দেয়া হয় না এমন নজির নেই। গণপরিবহন বলতে ট্যাক্সির গুরুত্ব অপরিসীম। নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজন প্রাইভেটকার হিসেবে এই বাহনটি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশে এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। আমরা নতুন ট্যাক্সি নামানোর পর থেকই এ্যায়ারপোর্টে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া বেশি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় কম ভাড়ায় তা চালানোও সম্ভব হচ্ছে না। সঙ্গত কারণেই বিমানবন্দরের বাইরে ভাড়া কম পাওয়া যায়। ভাড়ার রেট বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ নতুন ট্যাক্সিতে উঠতে চান না। তিনি জানান, বিমানবন্দরে টেক্সি প্রবেশে সুযোগ দেয়া, নগরীর কয়েকটি স্থানে ট্যাক্সি স্টেন্ড করে দেয়ার জন্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়েছে। এসব চিঠি সিটি কর্পোরেশনের কাছে ফরওয়ার্ড করে দিয়ে দায় সাড়া হয়েছে। সঙ্কটের সমাধান হয়নি এখনও। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত দুটি কোম্পানি নতুন করে ট্যাক্সি নামাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। নানা শর্তেও বেড়াজালে এই মুহূর্তে পুরো প্রক্রিয়াটিই থেমে আছে। এ কারণে কম টাকায় নতুন করে ট্যাক্সি আনার চিন্তা করছে সরকার। যদিও এ বিষয়ে এখন চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, সঙ্কট সমাধানে আলোচনা চলছে। দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। ২০০২ সালে প্রথমে ৮ বছর এবং পরবর্তীতে ২ বছর বাড়িয়ে দশ বছর মেয়াদী কালো এবং হলুদ ট্যাক্সিক্যাব মিলিয়ে রাজধানীতে দশ হাজার এবং রাজধানীর বাহিরে ২ হাজার ট্যাক্সিক্যাবের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়। উভয় ধরনের ট্যাক্সিক্যাবের মেয়াদ গত ২০১২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়। চালকদের প্রবল আন্দোলনের মুখে পুরনো ট্যাক্সি তুলে দেয় সরকার। নতুন ট্যাক্সি নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে রাজধানী এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামে নতুন এক হাজার ট্যাক্সিক্যাব নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। রাস্তায় ট্যাক্সির দেখা মেলে না ॥ রাজধানীতে ট্যাক্সি চলে এ কথা অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না। বাস্তবতা এমনই। এর কারণ হলো পরিবহন স্বল্পতা। নগরীর নির্দিষ্ট এলাকায় শুরুমাত্র কয়েকটি ট্যাক্সির আনাগোনা চোখে পড়ে। এর মধ্যে বিমানবন্দর, গুলশান, বনানী, ধানম-ি এলাকাতেই বেশি। ভাগ্য ভাল হলে কমলাপুরে দেখা পাওয়া যায় হলুদ ট্যাক্সির। তমা গ্রুপের ট্যাক্সিচালক বাধন জানান, গাড়ি নামানোর পর থেকে নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে। একে তো সমস্যা হলো, গাড়ির সংখ্যা কম। অন্যদিকে অনেকেই বেশি ভাড়ার কারণে উঠতে চান না। তবে কোন কোন সময় যাত্রীদের চাহিদা থাকলেও গাড়িও যোগান দেয়া সম্ভব হয় না। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠান গাড়ি পরিচালনা করে সন্তুষ্ট নয় বলে জানান তিনি। নিরাপদ নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আশীষ কুমার দে জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারের স্বদিচ্ছার অভাবে রাজধানীতে গণপরিবহন সঙ্কট সমাধান হচ্ছে না। নগরীতে উন্নত বাস সার্ভিস নেই। নেই ট্যাক্সি সার্ভিসও। তাহলে মানুষ কিভাবে যাতায়াত করবেন। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য বিপুল পরিমাণ ট্যাক্সিও ব্যবস্থা থাকে। তিনি যাত্রীদের স্বার্থেও কথা বিবেচনায় নিয়ে কম মূল্যে নতুন ট্যাক্সি নামানোর দাবি জানান। বলেন, বেশি টাকায় গাড়ি আমদানি করা হলে ভাড়াও বেশি গুনতে হয়। যা সাধারণ যাত্রীদের পক্ষে সম্ভব হয় না। বন্ধ হওয়া ১২ হাজার ট্যাক্সিও বিপরীতে নতুন ট্যাক্সি নামানোর দাবি জানান এই পরিবহন বিশেষজ্ঞ। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ॥ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জন্যই ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সবার আগে জনস্বার্থের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ ট্যাক্সিক্যাব মালিকচালক ঐক্যপরিষদের মহাসচিব মোঃ ওবায়দুল হক নতুন ট্যাক্সিক্যাবের জন্য নির্ধারীত ভাড়ার বিরোধিতা করে বলেন, ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা হয়নি। নিম্ন ও মধ্যবিক্তদের নাগালের বাইরে এসব ট্যাক্সিক্যাব। যাদের বাড়ি গাড়ি আছে, বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক তারাই এসব ট্যাক্সিতে ওঠতে পারবেন। বিআরটিএ সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, আগের ট্যাক্সিগুলো ছিল ৮০০ সিসি, নতুন ট্যাক্সি এক হাজার ৫০০ সিসি। এ কারণে নতুন গাড়ি টেকসই বেশি হবে। এসব গাড়িগুলো সিসি ক্যামেরায় কন্ট্রোল রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গাড়িতে কোন কিছু রেখে গেলে যাত্রীরা অভিযোগ করলে ফেরত পাবেন। এ বিষয়ে বিআরটিএ সচিব শওকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, ট্যাক্সি নামানোর বিষয়ে কোন তথ্য আমার কাছে নেই। এ বিষয়ে তিনি বিআরটিএ পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মোঃ নূরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। বিআরটিএ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নতুন ট্যাক্সি আনার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল। দরপত্রে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল খুবই কম। তাছাড়া একটি সিন্ডিকেট চক্র নতুন প্রতিষ্ঠান আসতে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করছে। ফলে নতুন নতুন কোম্পানিকে কাজ দেয়া যাচ্ছে না। যেসব প্রতিষ্ঠান ট্যাক্সি নামানোর অনুমতি পেয়েছে তারাও নানা অজুহাতে বাড়তি গাড়ি নামাতে নারাজ। তবে বিভিন্ন মহল থেকে স্বল্প ভাড়ায় নন এসি ও এসি গাড়ি নামানোর সুপারিশ রয়েছে বলেও জানান তারা।
×