ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আইসিটি নগর তৈরি করা হবে ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আইসিটি নগর তৈরি করা হবে ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তথ্য-প্রযুক্তি খাত এগিয়ে নিতে আইসিটি নগর তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য দেশে বিশেষ কোন সিটি নেই। অথচ সব কিছুতে এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এ কারণে এমন একটি নগর তৈরি করা প্রয়োজন হয়ে পড়ছে যেখানে বসে যুবকরা এ শিল্প নিয়ে কাজ করতে পারবে। যেখানে তারা ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ পাবে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চার দিনব্যাপী বেসিস সফট এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডিজাইনিং দ্য ফিউচার স্লোগান সামনে রেখে ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী এবারের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর ও বেসিস সফট এক্সপোর আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল উপস্থিত ছিলেন। হলোগ্রাফিক রোবট মায়ার সাহায্যে সফট এক্সপোর উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ এক্সপোর আয়োজন করছে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। ওই সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি বা আইসিটি খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এর ফলে এ খাত অনেক দূর এগিয়েছে। তবে দেশের উন্নয়নে আইসিটি খাতকে আরও এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। আর এ কারণেই একটি আইসিটি নগর তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। বাজেটে দেশীয় শিল্প বিকাশে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানোর দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। মুহিত বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্য থেকে যাতে ২০ শতাংশ রাজস্ব আদায় করা যায় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। বাজেটের আকার বড় হলে সরকারী সেবা বৃদ্ধি পায়, মানব সম্পদের উন্নতি হয় ও ব্যক্তিগত সামর্থ্য বাড়ে। এ কারণে সরকারের আয় বাড়াতে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বাড়াতে হবে। অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভাষার মাসে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির অন্যতম মাইলফলক বেসিস সফট এক্সপো-২০১৮। এবারের আয়োজন পরিসরে যেমন বড় তেমনি বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির পরিচয়ও বহন করছে। এদিকে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠিত হয় স্টার্টআপের ওপর সেমিনার। এছাড়া নেট নিউট্রালিটি এবং রোবোটিক্সের ওপর দুটি পৃথক পৃথক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির বৃহত্তম প্রদর্শনী সফট এক্সপোতে এবার প্রায় ২০০ দেশী-বিদেশী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনী এলাকাকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। এছাড়া ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে শতাধিক দেশী-বিদেশী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ অংশ নিবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এবারের প্রদর্শনীতে দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্যে থাকছে বি-টু-বি ম্যাচ মেকিং সেশন। যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন। পাশাপাশি রয়েছে আইটি জব ফেয়ার জোন, যেখান থেকে দেশী-বিদেশী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ইনোভেশন জোন যেখানে বেসিস স্টুডেন্ট ফোরামের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রজেক্টগুলো তুলে ধরছেন। থাকবে মানবসদৃশ রোবট বঙ্গবীর, ব্যাংরোসহ আরও অনেক উদ্ভাবনী প্রজেক্ট। বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রসারণে এই এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে।
×