ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে দেড় বছরের সর্ব নিম্ন লেনদেন

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পুঁজিবাজারে দেড় বছরের সর্ব নিম্ন লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৮৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে। এর আগে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই ডিএসইতে ২৭২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিকে বৃহস্পতিবারে লেনদেনের শুরু থেকেই সূচক উত্থানের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পতনেই লেনদেন শেষ হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপের কারণে উর্ধমুখী প্রবণতা আর দেখা যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এডিআর রেশিও সমন্বয়ের সময় আরও ছয় মাস বাড়ানো এবং কৌশলগত অংশীদার হিসেবে প্রধান বাজারের পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাব নিয়ন্ত্রক সংস্থার কারণে পাঠানোর খবরও বিনিয়োগকারীদের ভরসা দিতে পারেনি। একইসাথে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বড় বিনিয়োগকারীদের নিস্ক্রিয় আচরণও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কিছুটা বিভ্রান্ত করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তাদের মতে, গত দেড় মাস ধরে বাজারে এডিআর নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছে একটি পক্ষ। এখন এডিআর নিয়ে ধোঁয়াশা কাটলেও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে কষ্ট প্রাইসে বিনিয়োগ সীমা গণনার দাবি জানানো হচ্ছে। ফলে একটির পর একটি নতুন দাবি তুলে আনছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। মূলত এইসব কারণেই বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ২৮৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে প্রায় ১০১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা কম। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ১৬১টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। সকালে সূচকের উর্ধগতির মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। এক পর্যায়ে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ৪২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সারাদিনের ওঠানামা শেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৭০ পয়েন্টে। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : স্কয়ার ফার্মা, সিভিও পেট্রোকেম্যিাল, গ্রামীন ফোন, ইউনিক হোটেল, ফার্মা এইড, সিটি ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ও উসমানিয়া গ্লাস। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লিব্রা ইনফিউশন, ইউনাইটেড পাওয়ার, উসমানিয়া গ্লাস, এমবে ফার্মা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, ফাইন ফুড ও বাজার পেইন্ট। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মেঘনা পেট, সাভার রিফ্যাক্টরীজ, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, মাইডাস ফাইনান্স, বে´িমকো সিনথেটিক, সোনারাগাঁও টেক্সটাইল, এপেক্স স্পিনিং ও খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির শেয়ার দর। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : গ্রামীন ফোন, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, কেয়া কসমেটিক, স্কয়ার ফার্মা, সাইফ পাওয়ারটেক, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, লিগ্যাসি ফুটওয়ার ও সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল।
×